ফটিকছড়ি : অপহরণের এক বছর পর কুয়ায় মিললো লাশের কঙ্কাল

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় অপহরণের এক বছর পর পাহাড়ি অঞ্চলের ৫০ ফুট গভীর কুয়ায় লাশের কঙ্কালের সন্ধান মিলেছে।  এই লাশটি এনজিও কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের (৪৩) বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  উপজেলার বাগান বাজারের নূরপুর এলাকার গহীন জঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এসব কঙ্কাল উদ্ধার করে।
এর আগে বুধবার বিকেলে অপহরণের সাথে জড়িত মো. বিল্লাল হোসেন নামে একজনকে রামগড় থেকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিতে তাকে নিয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিবিআই টিম।
জানা যায়, কথিত কোটি টাকা মূল্যের তক্ষক কম মূল্যে বিক্রির নাম করে গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাবুল সিকদার (৪২) নামে এক ঠিকাদার ও এনজিও সংস্থা সেতু বন্ধনের ব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিনকে (৪৩) ফটিকছড়িতে নিয়ে অপহরণ করে।  পরে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।  মুক্তিপণ দাবির কয়েকদিনের মাথায় অপহরণকারীরা বাবুলকে মুক্তি দিলেও এনজিও কর্মকর্তাকে হত্যা করে।  হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়া হয়েছিলো দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের ৫০ ফুট গভীর একটি কুয়ায়।  হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় পিবিআই কর্তৃক জড়িত একজনকে আটকের পর বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য।
এ ঘটনায় ভূজপুর থানায় একটি মামলা হলেও দীর্ঘদিন হেলালের কোনো খোঁজ মিলছিল না।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছদ্মবেশী পিবিআই সদস্যদের ফাঁদে ধরা দেয় মো. বিল্লাল নামে স্থানীয় এক তরুণ।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. বিল্লাল এনজিও কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে হত্যা ও লাশ গুমের তথ্য দেয়ার পর শুরু হয় উদ্ধারের তৎপরতা।  দীর্ঘ ১৭ ঘন্টার অভিযানে ৫০ ফুট গভীর কুয়াটি খনন করে কঙ্কালের সন্ধান পায়।
বাগান বাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রুস্তম আলী বলেন, ‘ঘটনাস্থলটি খুবই দূর্গম এলাকায় পড়েছে।  পায়ে হেঁটে ওই এলাকায় পৌঁছেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়’।
পিবিআই চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামি আমাদের কাছে স্বীকার করেছে যে, সে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো।  তার স্বীকারোক্তিতে কুয়া খুঁড়ে লাশের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়’।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘লাশের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।  এখন পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া শুরু হবে’।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ