দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। জব্দ করা ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা। শনিবার রাতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ লেদা বিওপি’র আনোয়ার প্রজেক্টের পাশের আলী খাল সংলগ্ন লবন মাঠ এলাকা থেকে এই ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, আমাদের কাছে সংবাদ আসে আনোয়ার প্রজেক্টের পাশে আলীখাল সংলগ্ন লবন মাঠ এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমান থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে লেদা বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল ওই এলাকায় গিয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে আলীখাল বেড়ীবাঁধ ও মাঠের ভেতর আইলের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান করে। টহল দল রাত ১১টার দিকে লবন মাঠ এলাকা দিয়ে ২ জন ব্যক্তিকে ১টি প্লাষ্টিকের বস্তা নিয়ে আসতে দেখে। তাদেরকে দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয় টহলদল।
দুষ্কৃতিকারীরা দূর থেকে বিজিবি’র উপস্থিতির বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের কাছে থাকা বস্তা ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী আলীখাল গ্রামের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে টহলদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ১টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর থেকে ৯০ লাখ টাকা মূল্যর ত্রিশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। তবে পাচারকারীদের আটক করার জন্য টহল দল ওই এলাকা ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে কয়েকঘণ্টা অভিযান চালিয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি। তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে।
অধিনায়ক আরও বলেন, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) টেকনাফ সীমান্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত, মানবপাচারসহ সীমান্তে সংঘটিত সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের জন্য অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ