উত্তর কাট্টলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ২ লাশ উদ্ধার

রুপা চৌধুরী, নগর প্রতিবেদক >>>
চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।  কর্নেলহাট এলাকার কর্ণেলজোন্স সড়ের একটি ফার্নিচার কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারলেও অগ্নিকাণ্ডস্থলের ২০০ গজের মধ্যে প্রধান সড়কটি কাটা থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি।  বিকল্প সড়কটি সরু এবং যান-মানুষের জটলা থাকায় খানিকটা দুর্ভোগে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।  তবে আগুন লাগার সাথে সাথেই স্থানীয় তরুণ-যুবক এবং মধ্য বয়সী ব্যক্তিরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।  পরে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট সেখানে পৌঁছে।  এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত সাড়ে আটটা) দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে কর্নেলহাট এলাকার ‘পিটুপি ফার্নিচার’ কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটার দিকে।  তবে প্রধান সড়কটি ব্রিজ নির্মাণজনিত কারণে কাটা থাকায় গাড়িগুলো ঘটনাস্থলে যেতে সময় লেগে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার।  তিনি জানান, আজ (সোমবার) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে কারখানাটিতে আগুন লাগে।  খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের ১৩টি গাড়ি ৩টা ৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।  তবে ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রধান সড়কটি কাটা থাকায় গাড়িগুলোকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় বলে তিনি জানান।  প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।
তিনি আরও জানান, এখনো আগুন জ্বলছে।  কারখানা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  আরও কেউ আছে কি না আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বলা যাবে।
তবে রাত সাড়ে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা নগর যুবলীগ নেতা মনোয়ার উল আলম নোবেল দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।  তবে আগুনের যে ভয়াবহতা তাতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।  প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন অবহেলাজনিত কারণে কাটা থাকায় ক্ষয়ক্ষতিটা বেশি হয়েছে।  গাড়িগুলো ঢুকাতে বেগ পেতে হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জাফর উল্লাহ জানান, ফার্ণিচার কারখানাটির তিনপাশ দিয়ে প্রবেশের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।  চারপাশেই চিল টিনশেড স্থাপনা।  ফলে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।  অন্যদিকে কর্ণেল জোন্স রোডে প্রবেশের মূল সড়কটির প্রবেশমুখে ব্রিজ নির্মাণজনিত কারণে কাটা থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো আটকে পড়ে।  সাথে ছিল প্রধান সড়কের জ্যাম।  ফলে কারখানার আগুনে সব শেষ হয়ে গেছে।  ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/আরসি