চট্টগ্রামে বিদ্যুতের তার পড়ে মারা যাওয়া রিক্সাচালকের পরিবার পাচ্ছে অর্থ সহায়তা

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
নগরীরে অক্সিজেন মোড়ে বিদ্যুতের তার পড়ে মারা যাওয়া রিক্সাচালকের পরিবার পাচ্ছে অর্থ সহায়তা। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ ২৫ হাজার টাকা সহায়তার অর্থ পেয়েছেন বলে পূর্বদেশকে জানিয়েছেন নিহত রিক্সাচালকের শ্বশুর শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আমি এখন আমার মেয়ে নাতনীকে নিয়ে রংপুরে অবস্থান করতেছি। জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া ২৫ হাজার টাকা হাতে পেয়েছি। তবে আরও অর্থ সহায়তার কথা আমাকে অনেকে ফোন করে জানিয়েছেন।
এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নির্দেশে এ অর্থ দেওয়া হচ্ছে জাহেদ আলীর পরিবার পাচ্ছেন পাঁচ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত। আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জাহেদ আলীর পরিবারকে সহায়তার জন্য মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মহোদয় ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, বিদ্যুতের লাইনটি কার। লাইনটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বলে আমি নিশ্চিত করেছি। পরে প্রতিমন্ত্রী মহোদয় পরিবারটিকে পাঁচ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, পিডিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কথা বলে পরিবারটিকে পাঁচ লাখ টাকার একটি স্থায়ী আমানত করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জাহেদ আলীর পরিবারে যদি যোগ্য কেউ থাকেন, তাহলে তার চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী ও সচিব আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৃত রিক্সাচালক জাহেদ আলীর পরিবারে তাঁর স্ত্রী ও একটি ৯ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। তিন বছর আগের তাদের বিয়ে হয়। জাহেদ আলীক শ্যালক মতিয়ার রহমান বলেন, আমার বোনের জামাই একজন রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতেন। কোনো বাড়তি আয় ছিল না। রিক্সা চালিয়ে যা পেত তা দিয়ে ভালোই চলছিলো তাদের। হঠাৎ তার মৃত্যুতে ৯ মাসের একটি শিশু সন্তান কিভাবে দিন কাটাবে? এখন সরকারের কাছ থেকে কিছু অর্থ সহায়তা পেলে তা দিয়ে কিছু একটা করে খেতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দিকে নগরীর অক্সিজেন মোড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে রিকশাচালক জাহেদ আলীর গায়ে পড়ে। এতে তিনি স্পৃষ্ট ও দগ্ধ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে জাহেদ আলীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে ৩৬ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহেদ আলী মারা যান। জাহেদ আলীর মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মোহাম্মদ তার পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা দেন। জাহেদ আলীর বয়স ২৮ বছর। তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের কূলগাঁও এলাকায় একটি টিনশেড ঘরে ভাড়ায় থাকতেন। তার

ডিসি/এসআইকে/আরএআর