ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত বান্দরবানের প্রশাসন

বান্দরবান প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বান্দরবানের সাতটি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রিত বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবারও মজুদ রয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
এছাড়াও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। বান্দরবানের লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম উপজেলায় ৫০ টিরও বেশি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
মোখার প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আতংক বিরাজ করছে। তবে বান্দরবান পৌর এলাকায় কয়েক শতাধিক পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও এখনো পর্যন্ত কেউ নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়নি।
এদিকে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ শেখর বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব থেকে জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে পৌরসভার পক্ষে থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সব ধরনের দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেকোনো সময় বাসিন্দারা এসব কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে পারবেন।

ডিসি/এসআইকে/এসপিআর