লামায় লোকালয় থেকে মায়া হরিণ শাবক উদ্ধার

লামা প্রতিনিধি >>>
খাদ্য ও বাসস্থান সংকটে পড়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকালয়ে চলে আসছে নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণি।  উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা এলাকা থেকে কালো ভালুক ছানা উদ্ধারের ৬ দিনের মাথায় এবার সরই ইউনিয়নের আমতলী পাড়ার লোকালয়ে চলে আসে বিপন্ন প্রজাতির একটি পুরুষ মায়া হরিণ শাবক।  আজ সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে অভিযান চালিয়ে হরিণ শাবকটি উদ্ধার করে বন বিভাগের ডলুছড়ি রেঞ্জের বন কর্মীরা।
জানা গেছে, সোমবার সকালের দিকে লামা বন বিভাগের ডলুছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন আমতলী এলাকার পাহাড়ে পাঁচ-ছয় মাস বয়সী দলছুট একটি মায়া হরিণের শাবক ঘোরাফেরা করছিল।  এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গেলে সেটিকে তাড়া করে আটকে বাড়িতে নিয়ে যায়।  খবর পেয়ে বন বিভাগের ডলুছড়ি রেঞ্জের কর্মীরা হরিণ শাবকটিকে নিজেদের জিম্মায় নেয়।  একইদিন বিকালে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের তত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলামের নিকট হরিণটি হস্তান্তর করেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার।  এ সময় সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা নূরে আলম হাফিজ, অফিস সহকারী কাজী গোলাম সরোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় মায়া হরিণের বাস।  অতীতে হরহামেশাই লোকালয়ের কাছাকাছি এই হরিণ দেখা গেলেও গত ১০ বছরে এর সংখ্যা কমেছে।  বাংলাদেশের সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে এরা এখনও টিকে আছে।  তবে অব্যাহতভাবে বন ধ্বংস হওয়ায় বাসস্থান ও খাদ্য সংকটসহ শিকারিদের উৎপাতে প্রায় বিপন্নের পথে এ মায়া হরিণসহ নানা প্রজাতির বন্য প্রাণি।
লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার জানান, হরিণ শাবকটি ভালো আছে।  যেহেতু এটি দলছুট হয়ে গেছে এবং বয়স কম, তাই বনে ছেড়ে দিলে বিপদে পড়তে পারে।  সেহেতু হরিণ শাবকটিকে সংরক্ষণের জন্য কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমআর