চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যুঘটিত মামলার দ্রুত নিস্পত্তি চান স্ত্রী

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার চিত্রনায়ক এস এম আসলাম তালুকদার মান্নার চিকিৎসা অবহেলাজনিত মৃত্যুতে করা মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার স্ত্রী শেলী কাদের।
রবিবার (৬ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। শেলী কাদের বলেন, ‘২০০৮ সালে মান্না আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, সেই ২০০৮ সালে আমরা একটা মামলা করেছিলাম হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মামলাটি হলো অবহেলা জনিত। সেই সময় মামলাটি একটা মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছিল। সবার মধ্যে একটা প্রত্যাশা ছিল মামলাটি বিষয়ে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে, কিন্তু ১৩ বছর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে আমরা তার পরিবার কোনো রেজাল্ট পাচ্ছি না। আমি মান্না হত্যার ন্যায়বিচার চাই। মান্না হত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি’।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেন নায়ক মান্নার শ্যালক রেজা কাদের। পরে এ মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হয়। তদন্তে প্রথমিকভাবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরদিনই তারা হাইকোর্টে জামিনের জন্য আসেন। আদালত তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।
ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসর্পণ করলে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পান তারা। এরপর ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন বিশেষ দায়রা জজ আদালত। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য থাকা দিনেই সংশ্লিষ্ট বিচারক অন্যত্র বদলি হয়ে যান। থেমে যায় সাক্ষ্যগ্রহণ। তারপর আর সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু সেই রিটের নিস্পত্তি হয়নি গত ১৩ বছরেও।
রবিবার (৬ আগস্ট) এসব তথ্য জানান মান্নার মামলার আইনজীবী খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুল হুদা।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে বুকে ব্যাথা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে যান মান্না। এরপর সেখানেই তিনি মারা যান। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহলোয় তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ