৬ মাসে ২৮২ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ২৮২টি অভিযোগ পেয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ সব অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩০টি অভিযোগ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ সব তথ্য জানানো হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিত এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। তিনি বলেন, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তথ্য অনুযায়ী গত বছর বিশ্বজুড়ে ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংবাদ প্রকাশের জন্য নিপীড়িত, নির্যাতিত সাংবাদিকদের সংখ্যা সহস্রাধিক। বিশ্বে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করার জন্যই তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিপীড়িত প্রত্যেক সাংবাদিক একজন মানবাধিকার যোদ্ধা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশও অনেক সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ করে। সবাই যে করে তা না৷ দেখা গেল, পুলিশ পরিচয়ে কাউকে তুলে নেওয়া হলো। এমন কিছু হলে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পিবিআই, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কাজ করি। পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায় এসেছে, এমন ঘটনাও আছে।
জাতীয় মানবাধিকার বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন কমিশনের পরিচালক কাজী আরফান আশিক। তিনি বলেন, ভুয়া মানবাধিকার সংগঠন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের নাম নিয়ে অনেক ভুয়া সংগঠন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করার নামে প্রতারণা করছে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব সেবাষ্টিন রেমা। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা।
আলোচকেরা বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে গণমাধ্যম। বিশ্বে যে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি যত খারাপ সেই দেশে গণমাধ্যম তত শৃঙ্খলিত। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশি, সেখানে গণমাধ্যম তত সংকুচিত এবং ততটাই ঝুঁকিতে। তাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক। সভায় মানবাধিকার সাংবাদিকতা বিকাশে সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, আইনি সুরক্ষা, সঠিক তথ্য প্রাপ্তি সহজ করার সুপারিশ করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ