নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
শতবর্ষী ও বিভিন্ন বয়সের ছোট-বড় ৪৬টি গাছ কেটে টাইগারপাস-পলোগ্রাউন্ড সড়কে এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ঈদের পর পুনঃনকশা করে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘সলা-পরামর্শ’ করে তবেই র্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে পিছুটান দিয়েছে সিডিএ। তবে তাদের আশ্বাসে আপাতত গাছ বা ওই সড়কে র্যাম্প স্থাপনের কাজটি শুরু না করা হলেও সতর্ক থাকবেন পরিবেশকর্মীরা- এমনটাই জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের পরিবেশ কর্মী ও সচেতন মহল।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সমাজবিজ্ঞানী ড. অনপুম সেন এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা সেখানে ছিলেন। সেখান থেকেই সংস্থাটি এ সিদ্ধান্তে আসে বলে জানা গেছে।
সমাজবিজ্ঞানী ড. অনপুম সেন বলেন, ‘আমি সেই ১৯৪৮ সালেও দ্বিতল রোড দেখেছি। এই সড়কে দাঁড়িয়ে সুবিশাল পলোগ্রাউন্ড রোড দেখা যায়। দ্বিতল রোড চটগ্রাম নগরের ঐতিহ্য। সুতরাং কোনোভাবে স্থানটি নষ্ট করা যাবে না’।
সিডিএর প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ‘ঈদের পর পুনরায় র্যাম্প নির্মাণের নকশা নিয়ে কাজ করা হবে। এরপর সর্বসাধারণসহ জনপ্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। এরপর সবার সিদ্ধান্ত অনুসারে কাজ করা হবে’।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) টাইগারপাস থেকে পলোগ্রাউন্ড পর্যন্ত মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী সড়কে সারি সারি শতবর্ষী গাছ কেটে র্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাজানি হলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে সব-শ্রেণি পেশার মানুষ। ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানায় পরিবেশকর্মীসহ সর্বস্তরের সচেতন মহল।
ডিসি/এসআইকে/আরএআর