আনোয়ারায় নিখোঁজ ১২ মাঝিমাল্লার সন্ধান মিলেছে

দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারসহ নিখোঁজ ১২ মাঝিমাল্লার সন্ধান মিলেছে তিনদিন পর। তাদের মধ্যে ১১ জন উপকূলে ফিরে এলেও একজন সাগরে থাকা অন্য একটি ট্রলারে রয়েছেন।
১২ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ‘এফভি আলী শাহ-২’ ট্রলারটি নিখোঁজ ছিল গত মঙ্গলবার রাত থেকে। ওই ট্রলারের মালিকদের একজন মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘ঝড়ের কবলে পড়ে জেলেরা ট্রলার থেকে সাগরে পড়ে গিয়েছিল। সেখানে তারা ফ্লুট (জালের সাথে থাকা শোলা) ধরে ভেসে ছিল। বৃহস্পতিবার সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বিভিন্ন ট্রলার তাদের সাগরে দেখে উদ্ধার করেছে’।
উদ্ধার মাঝিমাল্লাদের কে কোথায় আছেন জানতে চাইলে রহিম বলেন, ‘১২ জনের মধ্যে ১০ জনকে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট এলাকায় নিয়ে এসেছে সেখানকার একটি ট্রলার। ভোলা অঞ্চলের একটি ট্রলার আজু নামে এক জেলেকে উদ্ধার করে তাদের সাথে নিয়ে গেছে। এছাড়া নূর উদ্দিন নামে অপর এক জেলেকে উদ্ধার করেছে আলাদা আরেকটি ট্রলার। সাগরে মাছ ধরতে থাকা ট্রলারটিতে তিনিও নিরাপদে আছেন’।
ওই মাঝিমাল্লারা হলেন মো. মোক্তার, মো. আফতাব, মো. জাহাঙ্গীর, মো. ইলিয়াছ, ফরিদ, আজু, নূর মোহাম্মদ, শাহীন, আরশাদ, আরিফ, ওসমান ও নূর উদ্দিন। তাদের সবার বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার গহিরা এলাকায়।
জেলেদের সন্ধান পাওয়া গেলেও শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ট্রলারের খোঁজ মেলেনি। সেটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে ট্রলার মালিক রহিম জানান।
‘এফভি আলী শাহ-২’ নামের ট্রলারটি গত ৩০ জুলাই আনোয়ারা উপজেলার গহিরা থেকে ১২ জন মাঝিমাল্লাসহ সাগরে মাছ ধরতে যায়। রাতে এই ট্রলারটি ছাড়াও আরও কয়েকশ ট্রালার মাছ ধরতে সাগরে ভাসে। এর মধ্যে ‘এফভি আলী শাহ-২’সহ পাঁচটি ট্রলার কুতুবদিয়া এলাকায় সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে বলে খবর আসে। চারটি ট্রলারের মাঝিমাল্লারা অন্যান্য ট্রলারের সহযোগিতায় উদ্ধার হলেও মঙ্গলবার রাত থেকে ‘এফভি আলী শাহ-২’ এর সাথে এর মালিকদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের বিজিসি সাঙ্গু স্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মোস্তাক আহমেদ বলেছিলেন, ট্রলার মালিকের ভাষ্য অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরের সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে ১০ থেকে ১৫ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ট্রলারটি নিখোঁজ হয়েছে।
ট্রলার নিখোঁজের বিষয়টি কোস্টগার্ডকে জানানোর পরপরই সাগরে টহলে থাকা কোস্ট গোর্ডের জাহাজ ‘বিসিজিএস জয়বাংলা’ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। পরবর্তীতে তার সাথে ‘বিসিজিএস কামরুজ্জামান’ নামে আরও একটি জাহাজও তল্লাশিতে যোগ দেয়।

ডিসি/এসআইকে/এসইউ