ফাঁকা সড়কে ভ্যান-রিকশা-মোটরসাইকেলের দাপট

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা প্রতিনিধি >>>
পুরো বিশ্ব এখন ভয়ঙ্কর করোনা মহামারিতে ঘরকোণো। সবাইকে নিরাপদে রাখতে বিশ্বের ১১০ টি দেশ ও অঞ্চল নিজ নিজ দেশে সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করেছে। কারফিউ, লকডাউনসহ ঘরে থাকার আহ্বানে বাইরে থাকছেন সেনাবাহিনীসহ স্ব স্ব দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ দেশের সকল বিভাগকে মাঠে নামিয়েছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানাসহ যানবাহন। মানুষকে ঘরে রাখতে সরকার-প্রশাসনের এমন কঠোরতায়ও যেনো কিছুতেই মানুষকে ঘরে রাখতে পারছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠে সারাক্ষণ কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ। এত কিছুর পরেও মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন, মানছেন না সামাজিক দূরত্ব।
আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার পিএবি সড়কের বড়উঠান ইউনিয়নের ডাকপাড়া রাস্তা মাথায় ভ্যানচালক যাত্রী তুলছেন তার ভ্যানে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বালাই দেখা গেলো না সেখানে। এক ভ্যানে গাদাগাদি করে উঠে বসলেন ৮ জন। গায়ের সাথে গা ঘেঁষে খুব ভাবনাহীন ভাবেই তাদের গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। এর পর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখা যায়, মোটরসাইকেল, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গণপরিবহন ভাড়ায় যাত্রীদের পরিবহন করছেন।
ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল চালকরা এই সুযোগে আদায় করছেন ৪-৫ গুণ ভাড়া। আবার কোলাহল মুক্ত ফাঁকা রাস্তা পেয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘুড়ে বেড়াতে দেখা যায় দুই থেকে তিনজনকে।
এসব চালকেরা পুলিশ যেখানে আছে সেখানে যায় না। তার থেকে কিছুদূর আগে/পরে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। আবার দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালকরা ভাড়া মারলেও তা অস্বীকার করে বলেন ওরা আমার ভাই; না হলে বলেন বন্ধু অথবা সহপাঠী। কিন্তু দেখা যায় মোটরসাইকেল আরোহী যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে টাকা নিচ্ছে।
সড়কে এমন নিয়ন্ত্রণহীন চলাফেরা করোনার ঝুঁকি যেমন বাড়াচ্ছে, তেমনি নাগরিক ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুন। অতিদ্রুত এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণ এবং মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে আরো কঠোরতা দেখানোর আহ্বান জানান সচেতন মহল।

ডিসি/এসআইকে/এমএম