কবিরাজকে মেরে ফেলে দেয়া হলো রাস্তায় : মৃত্যু হলো হাসপাতালে

কর্ণফুলী উপজেলা প্রতিনিধি >>>
দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত কর্ণফুলী উপজেলা। নামে উপজেলা হলেও এই থানাটি পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ব্যবস্থাপনায়। স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রাম শহরের পাশে অবস্থান হওয়ায় বেশ উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে উপজেলাটিতে। এবার এই উপজেলায় রোগী দেখার কথা বলে ডেকে নিয়ে এক কবিরাজকে নির্মমভাবে মেরে রাস্তায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। শায়ের মুহাম্মদ সাগর (৪২) নামের এই কবিরাজকে গত রবিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রোগী দেখার কথা বলে ৪ ব্যক্তি ঘর থেকে ডেকে নেয়। এরপর রাত ৯ টায় উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের পশ্চিম চরলক্ষ্যা গোয়ালপাড়ায় রাস্তার পাশে আহতাবস্থায় তিনি পড়ে থাকার খবর আসে।
স্থানীয়রা দ্রুত সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নগরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। শায়ের মুহাম্মদ সাগর উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের অলির বাপের বাড়ির মৃত মুহাম্মদ হাশেমের ছেলে বলে জানা গেছে। তবে কি কারণে, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশসহ কেউই।
নিহতের ছোট ভাই মুহাম্মদ জাফর জানান, আমার ভাইকে গত রবিবার বিকেলে মুখে মাস্ক পরিহিত ৪ ব্যক্তি একজন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত ৯ টার দিকে খবর পাই আমার ভাই ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের পশ্চিম চরলক্ষ্যা গোয়ালপাড়ায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে। আমরা যেতে যেতেই স্থানীয়রা আমার ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম ও নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলেও তিনি জানান। 
কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ও তাতে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আমরা এর কারণ বের করার চেষ্টা করছি।

ডিসি/এসআইকে/এমএম