বাঁশখালী প্রতিনিধি >>>
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া এলাকায় এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বাঁশখালী থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী তরুণীকে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামের ১৮ বছরের এই ভুক্তভোগী মেয়েটি মায়ের সাথে ঝগড়া করে কাজের সন্ধানে গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাগের মাথায় পায়ে হেঁটে তিনি বৈলছড়ি ইউপির ঘোনাপাড়া এলাকায় গিয়ে পৌঁছলে স্থানীয় খালেদা আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে। ওই সময় স্থানীয় বখাটে আব্দুল মজিদ, আবু তালেক ও অপর এক যুবক ওই তরুণীকে তাদের পরিচিত বলে মিথ্যা কথা বলে আশ্রয়দাতার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি বড়ঘোনা এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যায়।
রাত ৯ টার দিকে উপজেলার চেচুরিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া জিত্তা পুকুরের উত্তর পাড়ে ম্যালেরিয়া ও গামারি গাছের বাগানে নিয়ে গিয়ে বখাটেরা ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার কান্নায় পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উক্ত তরুণীকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পুলিশ চিহ্নিত আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কপিল উদ্দীন চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় আসামিরা চিহ্নিত হয়েছে। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ডিসি/এসআইকে/এমএমবিটি