সুদের টাকা দিতে না পারায় পিটিয়ে হত্যা : নারীসহ আটক ৫

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি >>>
সুদে টাকা নিয়ে একমাসের মুনাফার টাকা দিতে না পারায় মহাজনের লোকেরা পিটিয়ে হত্যা করেছে পাঁচ সন্তানের জনক বজল করিম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে। এ ঘটনায় আরো ৩ জন আহতন হয়েছেন। নিহত বজল কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের হাট খোলা গ্রামের মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে। আহত হয়েছেন নিহত বজল করিমের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৫) নিহতের বড়ভাই ফজল করিম (৬০) তার ছেলে কাজল (২৫)। আজ সোমবার (৪ মে) সকাল সাড়ে সাতটায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৭ টায় ঐ এলাকার আবদুল মোতালেবের ছেলে সুদি মহাজন আলাউদ্দিন নিহত বজল করিম থেকে মাস শেষে মুনাফার টাকা চান। করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়ায় টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় সুদি মহাজন আলাউদ্দিন, শাহাব উদ্দিনসহ ৬-৭ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে বজলকে। তার চিৎকার শুনে স্ত্রী রহিমা বেগম, ফজল করিম, কাজল তাকে উদ্ধার করতে গেলে সুদি মহাজনের লোকজন তাদেরকেও মারধরপূর্বক গুরুতর জখম করে।
প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৮ টায় কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক খন্দকার নোমান জরুরি বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বজল করিমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী রহিমা বেগম, ফজল করিম ও কাজলকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও রহিমা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত রহিমা বেগম জানান, তিন মাস পূর্বে স্থানীয় আবদুল মোতালেবের ছেলে সুদি মহাজন আলাউদ্দিনের থেকে ৫ হাজার টাকা নেন। প্রতি মাসে ৫’শ টাকা করে সুদের মুনাফা দিতে হয়। দুই মাস সুদের মুনাফা দেয়ার পর করোনা ভাইরাসের কারণে এপ্রিল মাসের মুনাফার টাকা দিতে না পারায় এ ঘটনা ঘটে।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দিদারুল ফেরদাউস জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহত বজল করিমের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত শাহাব উদ্দিন, আলাউদ্দিন, ফয়েজ, পুতিলা বেগম, হাদিছা বেগমসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ডিসি/এসআইকে/এমএম