কিল-ঘুষিতে প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার!

হাটহাজারী প্রতিনিধি >>>
ত্রাণ বন্টন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের যুবকদের কিল-ঘুষিতে প্রাণ গেল এক আওয়ামী লীগ নেতার।  নিহত ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. বখতিয়ার সিকদার (৪৯)।  তিনি হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার (৬ মে) বিকাল ৫ টার দিকে ওই ইউনিয়নের বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে।  প্রতিপক্ষের যুবকদের কিল-ঘুষিতে প্রাণ হারানো বকশি সিকদার বাড়ির মৃত মনির আহাম্মদ এর ছেলে বলে জানা গেছে।  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এছাড়া নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বড় ভাই গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. লোকমান মেম্বার জানান, আমার ছোট ভাই গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রাণ বিতরণ কমিটির সচিব।  গত মঙ্গলবার দুুপুর আড়াইটার দিকে সিকদার বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একই ওয়ার্ডের সৈয়দ আহসান উল্লাহ মিয়াজি বাড়ির আবদুল হালিমের ছেলে মো. রানা (২৮) তাদের এলাকায় সঠিকভাবে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে না এমন অভিযাগ করে।  এ সময় ওই স্থানে উপস্থিত নিহত বখতিয়ার সিকদার অভিযোগকারী যুবক রানার বক্তব্যে আপত্তি জানায়।  এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।
এরমধ্যে বুধবার (৬ মে) বিকাল ৫ টার দিকে আগের দিনের কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের যুবক রানাসহ আরও ২-৩ জন বখতিয়ার সিকদারকে একা পেয়ে বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে কিল-ঘুষি দিতে থাকলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা- এমটাই জানান ওই এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ নেতা তারিকুল কালাম তুহিন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।  তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে একই এলাকার যুবক রানা ও মুন্নাসহ আরও ২-৩ জনের কিল-ঘুষিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।  তবে এ ঘটনার বাইরে আর কোনো পূর্ব শত্রুতামূলক কোনো ইস্যু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছি।
এদিকে হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইউনুস মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।  এবং ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।  এছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ৭ টায় পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।  তবে নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের জন্য থানায় গেছেন বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ আলম।

ডিসি/এসআইকে/এমএমইউএম