বাঁশখালীতে আধিপত্য বিস্তারে হামলায় নিহত ১

নিহত মাওলানা মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ।

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী প্রতিনিধি >>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশায় ব্রীক ফিল্ড ও সমাজের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ঝন্টু গ্রুপ ও নুরুল আবছার গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।  এতে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে হাফেজ মাওলানা মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ (২৫) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।  তিনি একই এলাকার নেছার আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।  এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।  উক্ত ঘটনায় আহতদের মধ্যে আরো এক জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।  তিনি বাহারছর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবু সালেকের ছেলে ইব্রাহিম (২৮)।  গতকাল মঙ্গলবার (১২ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় অধিবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাহারছড়া ইউপির ইলশা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন ঝুন্টুর সাথে সমাজের আধিপত্য নিয়ে একই এলাকার দলিলুর রহমানের ছেলে নুরুল আবছারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।  তারই জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার (১২ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এসময় দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপি গোলাগুলিরও ঘটনা ঘটে।  সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ২ জন।  ইলশা গ্রামে এর পূর্বেও একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, ইলশা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ও হতাহতের ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।  ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  আমি নিজেও ঘটনাস্থলে রয়েছি।  লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।  এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, একইদিন সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দক্ষিণ সাধনপুরে এক ট্রাক চালককে একাধিকবার হামলা করে নির্দয়ভাবে কুপিয়ে হত্যা করার ২৪ ঘন্টা না যেতেই উপজেলার বাহারচড়া ইলশা গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটলো।

ডিসি/এসআইকে/এমএমবিটি