বাঁশখালীতে জহির হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

মু. মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী প্রতিনিধি >>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাধনপুর এলাকায় পূর্ব শক্রতা ও বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছিলেন।  আহত হয়েছিলেন অন্তত ৮ জন।  এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার (১৮ মে) বাঁশখালী গুণাগরি চৌমুহনীতে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত জহিরুল ইসলামের ভাইপো রবিউল আউয়াল হিরো, ভগ্নিপতি আমির হোসেন, বোন মমতাজ বেগম, নিহত জহিরের বড় মেয়ে কাউসার, ছোট মেয়ে রিয়া, ভাগনী পপিসহ স্থানীয় অনেকে।  এ সময় এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক ফাঁসির দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে নিহত জহিরুল ইসলামের ভাইপো রবিউল আউয়াল জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমি ও আমার চাচা ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবসা করে আসছি।  বিগত ৫ মে রাতে গুণাগুরী থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে নুরুল মোস্তফা ও রহিম দু’জন আমার উপর হামলা করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং আমি আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি।  ঘটনার দিন রাতে বাড়ি ফিরে মামলা করার জন্য থানায় যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়ির সামনে হামলা করে তারা।  এসময় আমার ছোট ভাই তানজিব ও বাবাকে আহত করে তারা।  তানজিবকে চমেকে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে আমি এবং বাবা থানায় গেলে রাতে স্থানীয় জামায়াত নেতা নেজাম উদ্দিন, মনির আহমদ, কালু, আজিজ শাহেদ, মুবিন, নুরুল্লাহ, জাফর, রাশেদ, ইয়াছিন, ইলিয়াস,ও আনিসের নেতৃত্বে সংঘবন্ধ হয়ে হামলা করে।  পরের দিন আবারো হামলা চালালে জহিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন।  তাকে গুণাগুরী মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক হওয়ায় চমেক হাসপাতালে নিতে বলেন।  চমেকে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করে আবারো হামলা চালায় তারা।  অ্যাম্বুলেন্সে আমার চাচাকে এলোপাতারি কুড়িয়ে হত্যা করে তারা।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, নিহত জহিরের স্ত্রী বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।  উক্ত মামলায় ২ জন আটক রয়েছেন।  অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে সাধনপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাধনপুর আশরাফ আলীর বাড়ি এলাকায় পূর্বের বিরোধের জের ধরে জহির নিহত হন।  এ ঘটনায় আহত হন আরো ৮ জন।

ডিসি/এসআইকে/এমএমবিটি