হাটহাজারীতে ওএমএস’র চাউল মিলছে মুদি দোকান-আড়তে,

হাটহাজারী প্রতিনিধি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার হাট-বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকান ও চাউলের আড়তে মিলছে ১০ টাকা কেজি দরের সরকারি ওএমএস এর চাউল।  এসব চাউল মুদি দোকানে ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।  তবে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৯৭ বস্তা চাউল জব্দ করা সম্ভব হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৯ জুন) রাতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২ নম্বর গেইট এবং আজ শনিবার (২০ জুন) সকালে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব চাউল অবৈধভাবে বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে।  অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
অভিযান চলাকালে আকতার সওদাগরের মুদি দোকান থেকে ৭ বস্তা এবং দোকানির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাটহাজারী পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকার লোকমান স্টোরের একটি চাউলের আড়ৎ থেকে বিক্রির জন্য রাখা আরও ৬০ বস্তা ওএমএস’র চাউল জব্দ করা হয়।  তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত উপজেলার তালিকাভুক্ত ওএমএস’র ডিলার মো. ইউসুফকে আটক করতে পারেনি প্রশাসন।
অভিযানের খবর পেয়ে ডিলার মো. ইউসুফ পালিয়ে গেছে জানিয়ে অভিযান পরিচালনাকারী ইউএনও রুহুল আমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চবি ২ নম্বর গেইটের একটি মুদি দোকানে ও হাটহাজারী পৌরসভার লোকমান স্টোরের একটি চাউলের আড়তে অভিযান চালিয়ে ৬৭ বস্তা (৩ হাজার ৩৫০ কেজি) ওএমএস’র চাউল জব্দ করা হয়।  এছাড়া আজ শনিবার সকালে পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকার মেখল রোডস্থ দিদার টাওয়ার এর গাউছিয়া স্টোর থেকে ৩০ বস্তা (১ হাজার ৫০০ কেজি) চাউল জব্দ করা হয়।  তিনি জানান, খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য কেজি প্রতি ১০ টাকার এসব চাউল ৪০ টাকায় কিনে ৪২ টাকায় বিক্রি করছিলেন।  এ ঘটনার সাথে জড়িত অসাধু চক্রগুলো মুদির দোকানদারদের সাথে আঁতাত করে ওএমএস’র এসব চাউল পরিবর্তন করে নিম্নমাণের চাউল খোলা বাজারে (ওএমএস) বিক্রি করতো।  সেগুলোর বাজার মূল্য প্রতি কেজি ৩৫ টাকা।
এদিকে শনিবার দুপুরে এসব ঘটনায় জড়িতদের আসামি করে হাটহাজারী মডেল থানায় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সোনাধন ত্রিপুরা বাদি হয়ে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি নিজেই।

ডিসি/এসআইকে/এমএমইউএম