রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ি জমির মালিকানায় থাকা ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করে ৫০ পরিবারকে চিরকুট (চিঠি) পাঠিয়েছে পাহাড়ি একটি সংগঠন। এই নিয়ে আতংক বিরাজ করছে পুরো এলাকায়। উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৫, ৬, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এসব জমির মালিকেরা। তাদের সবারই পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে পুকুর, বাগানসহ ফসলি জমি।
গত ১৪ জুন এই চিরকুট পাঠালেও বিষয়টি রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। চিরকুটটি কম্পিউটারে টাইপ করা হলেও যিনি পাবেন ওই ব্যক্তির নাম, টাকার অংক, তারিখ ও যোগাযোগের মুঠোফোন নাম্বার হাতে লেখা। স্বাক্ষরের স্থানে ইংরেজীতে এসবি লেখা।
তবে যোগাযোগের মুঠোফোন নাম্বারটি বন্ধ রয়েছে। টাকা পাঠাতে না পারলে ভবিষ্যতে সংগঠনকে দায়ী করা যাবে না বলে চিরকুটে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ রাজানগর ইউপির চেয়ারম্যান আহামদ ছৈয়দ তালুকদার বলেন, যাদের চিরকুট দেয়া হয়েছে তাঁদের পাহাড়ে জমি রয়েছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব জমির অবস্থান। কৃষকেরা পাহাড়ি জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কয়েকজন তরুণ এসব চিরকুট তাদের হাতে ধরিয়ে দেয়। চিরকুটে একেকজনকে ১০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। যাদের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়া হয়েছে তারা এতদিন ভয়ে কাউকে বলেননি। আমি জানার পর বিষয়টি রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চাঁদা চেয়ে চিরকুট পাঠানোর বিষয়ে আমরা জেনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কারা চাঁদা চেয়ে চিরকুট পাঠালো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এসব এলাকায় পুলিশী তৎপড়তা রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি ।
ডিসি/এসআইকে/এমজে