আম ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করায় বান্দরবানে আটক ২

চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক দুইজন।

বান্দরবান প্রতিনিধি >>>
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের এক আম ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করায় দুইজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।  পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এমএন লারমা (সংস্কার) গ্রুপের নাম ভাঙ্গিয়ে এক আম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করার সময় দু’জনকে আটক করে যৌথবাহিনী।  এসময় একটি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়।
আজ রবিবার (৫ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান বাজার থেকে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আটক দু’জন হলেন বান্দরবানের বালাঘাটা এলাকার গুনধর ত্রিপুরার ছেলে ওয়াসিম ত্রিপুরা (২২) ও মধ্যম পাড়ার চয়হ্লা প্রু মারমার ছেলে ফুটবলার অংথোয়াই চিং মারমা (৩২)।
অভিযোগকারী আম ব্যবসায়ী জানান, তিনি বান্দরবানের থানচি সড়কের বিভিন্ন এলাকার বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।  কিন্তু কয়েকদিন ধরে ওয়াসিম ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে তার কাছ থেকে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এর এমএন লারমা (সংস্কার) গ্রুপের জন্য চাঁদা দাবি করে আসছিল।  রবিবার (৫ জুলাই) সকালে দাবিকৃত চাঁদা আদায় করতে দুই যুবক বান্দরবান শহরের বনফুল হোটেলের সামনে আসলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনী তাদের আটক করে।  এসময় আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।  পরে আটককৃতদের বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
চাঁদাবাজির অভিযোগে আটককৃত ওয়াসিম ত্রিপুরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও অন্যজন ফুটবলার অংথোয়াই চিং মারমার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বান্দরবানে একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ক্রীড়াঙ্গণের সাথে জড়িত রয়েছেন।  জেলা ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও ফুটবলার মো. রফিকুল আলম মামুন দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক অংথোয়াইচিং ১০ বছর ধরে ফুটবল খেলার সাথে জড়িত।  তিনি বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকেন।  বিজেএমসির মতো বড় দলের খেলোয়াড় তিনি।  ভালো আয়ও করেন।  লকডাউনে খেলা বন্ধ বলে এখন বান্দরবানে অবস্থান করছেন।  তিনি কিভাবে এ ঘটনায় জড়ালেন বুঝতে পারছি না।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের দু’জনকে আটক করা হয়েছে।  তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত ২ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় মামলা করা হচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/এসআইপি