অস্ত্র গুলি ইয়াবাসহ ফটিকছড়িতে একজন গ্রেফতার

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
অস্ত্র, গুলি, মাদক এবং মাদক বিক্রির টাকাসহ তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের হেয়াকো পশ্চিম সিকদারখিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  রবিবার (১৯ জুলাই) ভোরগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।  পরে তার স্বীকারোক্তি মতে অস্ত্র, গুলি, ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।  গ্রেফতার আসামির নাম মো. সুমন (৩৫)।  তিনি দাঁতমারা ইউপির পশ্চিম সিকদারখিল এলাকার লেংরা আব্বাসের ছেলে।
জানা গেছে, মো. সুমন দীর্ঘদিন যাবৎ ভূজপুর থানা এলাকা এবং মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকায় ডাকাতি, মাদক কারবারের সাথে যুক্ত।  তার বিরুদ্ধে ভূজপুর এবং জোরারগঞ্জ থানায় ১২টি মাদক মামলা, ১টি অস্ত্র মামলা এবং ১টি সরকারি কর্মচারির উপর হামলার মামলা রয়েছে।  তাকে ধরার জন্য পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে ভূজপুর থানার অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ্, দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী সরওয়ার, এএসআই আল আমিন খানসহ সঙ্গীর ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে পশ্চিম সিকদারখিল আব্বাস ওরফে লেংরা আব্বাসের বাড়ি থেকে সুমনকে আটকপূর্বক গ্রেফতার করে।
পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের ফলে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে তার শয়নকক্ষ হতে ১টি দেশে তৈরি বন্দুক, ১টি পাইপগান (যাতে .৩০৩ রাইফেলের গুলি ব্যবহৃত হতো), ৬ রাউন্ড .৩০৩ রাইফেলের গুলি, ৩টি ১২ বোর কার্তুজ, ১৫০ পিস ইয়াবা এবং মাদক বিক্রয়ের ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ধৃত সুমনের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক সোহরাওয়ার্দী সরওয়ার বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলা এবং একটি মাদক মামলা দায়ের শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বছর সুমনকে হেয়াকো ক্যাম্পের বিজিবি গোয়েন্দা সদস্য নায়েক সোহেল আটক করতে চাইলে সাথে থাকা চাকু দিয়ে সোহেলকে কুপিয়ে আহত করে সুমন।  সে ঘটনায় মামলা হলে সুমন দীর্ঘদিন জেলে ছিল।  তার পিতাও একজন পেশাদার চোর।  আব্বাইচ্যা চোরা হিসেবে তাকে এক নামে সবাই চিনে।  তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।  বিগত ১৫/১৬ বছর আগে বাগান বাজার ইউপির আমতলী এলাকায় চুরি করতে যায় আব্বাস।  পরে স্হানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরে মেরে পা ভেঙ্গে দেয়।  মুমুর্ষ অবস্হায় আব্বাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তারদের পরামর্শে তার পা কেটে ফেলতে হয়।  সে থেকে আব্বাস পা হারা এবং লেংরা আব্বাস হিসেবে পরিচিতি পায়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ