চট্টগ্রামে যুবকের ঝুলন্ত লাশ ও হাজতির মৃৃত্যু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রামে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার এবং চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক হাজির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।  তবে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার যুবকের পরিবার দাবি করেছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে।  এই যুবকের নাম মোহাম্মদ মামুন (২২)।  অন্যদিকে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করা ৩৬ বছরের যুবকের নাম মো. সুমন।  ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা যুবকের ঘটনাটি নগরের পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকায় ঘটে। নিজ বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  অন্যজনের মৃত্যু হয় চমেক হাসপাতালে।
পুলিশের দাবি, স্ত্রীর সাথে কলহের জেরে মামুন আত্মহত্যা করেছেন।  তবে মামুনের বাবার দাবি, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, মামুন বিয়ে করেছেন বলেও তাদের জানা নেই।
মামুন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে।  তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।  মরদেহ উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হলেও মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বেলা একটা পর্যন্ত ময়না তদন্ত শেষ হয়নি।
মামুনের বাবা সৈয়দ আলম বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) বিকালে আমাকে পতেঙ্গা থানা থেকে ফোন করে আসতে বলে। বাড়ি থেকে আসতে আসতে রাত হয়ে যায়।  থানায় আসার পর আমাকে পুলিশ বলে, আপনার ছেলে মারা গেছে।  লাশ মেডিকেলে পাঠিয়ে দিয়েছি’।  তিনি বলেন, ‘পুলিশ বলেছে, দেড় মাস আগে মামুন বিয়ে করেছে সুমি নামের এক মেয়েকে।  এটা আমরা জানতাম না।  বউয়ের সাথে ঝগড়া করে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে।  আমার ছেলে কেন আত্মহত্যা করবে আর যদি বিয়েই করে ওই মেয়ে তার স্বামীর লাশের সাথে নেই কেন?  সকালে আমি গিয়ে ওই বাসা দেখে এসেছি।  সেখানে কয়েকটা হাড়ি-পাতিল ছাড়া কিছু নেই।  পুলিশ বলেছে, দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করেছে।  আমি গিয়ে দেখেছি দরজা-জানালা সব ঠিক আছে’।  সৈয়দ আলম বলেন, ‘ওই মেয়ের পরিবারের লোকজন মিলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।  আমি হত্যা মামলা করব’।
পতেঙ্গা থানার ওসি জোবায়ের সৈয়দ বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।  ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।  দরজা ভেঙে পুলিশ ঘরে ঢোকে।  ময়না তদন্তের পর জানা যাবে কি হয়েছিল’।  এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন বলেও জানান ওসি জোবায়ের।
অন্যদিকে সোমবার (২০ জুলাই) গভীর রাতে মো. সুমন নামের ৩৮ বছর বয়েসী ওই হাজতির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম।  তিনি বলেন, ‘গত বছরের ১ আগস্ট বায়েজিদ বোস্তামী থানার একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আসেন সুমন।  গত ১২ জুলাই তিনি স্ট্রোক করেন।  তখন থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  রাত ১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান’।
লাশ ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ডিসি/এসআইকে/আইএস