ডবলমুরিং থানার এসআই হেলালের বিরুদ্ধে মামলা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
নগরের আগ্রাবাদের বাদামতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির পর বাসায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল খানের (সাসপেন্ড) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ জুলাই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে এ মামলার শুনানি হয়।  শুনানি শেষে আদালত মামলা আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।  নিহতের মা রুবিনা আক্তার বাদি হয়ে এসআই হেলাল খান ও তার সোর্সের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদির আইনজীবী রোকসানা আক্তার বলেন, মারুফের মৃত্যুর ঘটনায় ও তার মা এবং বোনকে নির্যাতন করার অভিযোগে এসআই হেলালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিসি ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।  তিনি বলেন, মামলায় সোর্সদেরও আসামি করা হয়েছিল।  কিন্তু তাদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না থাকায় আদালত তাদের বাদ দিয়ে শুধু এসআই হেলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন।
গত ১৬ জুলাই রাতে নগরের আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় এলাকায় সালমান ইসলাম মারুফকে ধরতে যান ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল খান।  এ সময় এসআই হেলালের পরিচয় না পেয়ে তার সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় মারুফ।  খবর পেয়ে মারুফের বোন ও মা ঘটনাস্থলে আসেন।  তারাও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি করেন মারুফকে ছাড়াতে।  পুলিশের কাছ থেকে ছুটতে পেরে মারুফ পালিয়ে যায়।  পরে বাসায় মারুফের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মারুফের বাসার পাশে পুলিশের এক সোর্সকে চোর সন্দেহে পিটুনি দেয় এলাকার লোকজন।  এ ঘটনার পর ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল মারুফকে আটক করতে যায়।  এ ঘটনার পর সিএমপি তদন্ত কমিটি করে।  তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে এসআই হেলালকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে সাসপেন্ডের সুপারিশ করে।  পরে তাকে সাসপেন্ড করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এসএজে