খুলশীতে রেল লাইনের পাশ ঘেঁষে দোকান-বাজার, উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা জমিতে আবারো স্থাপনা

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় রেল লাইনের পাশে একটি অসাধু চক্র গড়ে তুলছে দোকান ও কাঁচা বাজার।  রেলওয়ের এসব জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে চলছে বাণিজ্য।  এছাড়াও সম্প্রতি উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা জমিতেও আবার উঠতে শুরু করেছে স্থাপনা।  এতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা ছাড়াও কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা ও রেলওয়ের কিছু কর্তারা চাঁদা নেয়ার মাধ্যমে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে বলে জানা গেছে।  সর্বশেষ গত শনিবার ঝাউতলাস্থ বিজিএমইএ ভবনের পাশে পাকা দোকান গড়ে তোলার জন্য পুলিশের এক কর্মকর্তা নিয়মিত টহলের সময় নগদ ১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। 

রবিবার (৯ আগস্ট) সকালে বিজিএমইএ ভবন এলাকা, দুপুরে আমবাগানের লেভেল ক্রসিং গেট এবং বিকেলে ১৩ নম্বর কাউন্সিলর কার্যালয় সংলগ্ন উচ্ছেদ করা বস্তি এলাকায় দেখা যায়, রেল ক্রসিং এর চারপাশের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে দোকান ও কাঁচাবাজার।  এ জন্য বালু এবং ইট এনে স্তুপ করে রাখা হয়েছে।  বিজিএমইএ ভবন সড়কের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে ঝাউতলা বাজার মুখী সড়কের মাঝামাঝি (প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান সুইড বাংলাদেশের সন্নিকটে) পর্যন্ত উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা খালি জায়গায় আবারো উঠেছে দোকানপাট এমনকি পাকা স্থাপনাও।  অন্যদিকে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সম্মুখস্ত উচ্ছেদ করা বস্তির সর্বত্রই উঠতে শুরু করেছে স্থাপনা।  অসাদু একাধিক চক্র স্থানীয় রেলক্রসিং এর গেইটম্যান, রেলওয়ের কতিপয় কর্তাদের ম্যানেজ করে, স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজিতে যুক্ত নগর যুবলীগের এক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কথিত নেতাদের মাসোহারা দিয়ে এসব স্থাপনা আবারো উঠতে শুরু করেছে।  এসব দোকান-পাট থেকে নিয়মিত চাঁদা নেন ক্ষমতাসীন দলের নামধারী কথিত নেতারা। তাদের সহযোগিতায় অবৈধভাবে দখল করে এসব দোকান তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অবৈধ বাজারের জন্য নিরাপত্তায় স্থাপিত রোড এপ্রোচ ওয়ার্নিং সিস্টেম নিরাপদ দুরত্ব থেকে দেখা যায় না।  ফলে যেকোনো সময় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহাবুবুল করিম জানান, আমরা যেখানে খবর পাচ্ছি সেখানে বাধা দিচ্ছি।  খুলশী থানাধীন চসিকের ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগানে রেলের জায়গায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার সময় বাধা দিয়েছি।  রেলক্রসিং এলাকায় রেলের জায়গা দখল করে দোকান বা বাজার গড়ে তোলার বিষয়ে খবর নেওয়া হচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/আইএস