পটিয়ায় শিশুর দেহ ব্লেড দিয়ে কেটে মরিচগুড়ো লাগালেন সৎ মা! ‌

দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় শিশুর দেহ ব্লেড কেটে তাতে মরিচের গুড়ো লাগিয়ে শাস্তি দিয়েছেন সৎ মা।  এতেই ক্ষান্ত হননি, হাতুড়ি দিয়ে পেটানো, স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে চালানো হতো ভয়াবহ নির্যাতন।  ৮ বছরের শিশু মায়শা আকতারের অপরাধ সৎ মায়ের গর্ভের সন্তানকে সারাক্ষণ কোলে নিয়ে রাখতে না পারা।  সর্বশেষ গত রবিবার (২৩ আগস্ট) একই ধরণের ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় মায়শাকে পটিয়া হাসপাতালে ভর্তি করায় তার বাবা রিক্সাচালক নাজিম উদ্দিন।  এরপর গতকাল সোমবার (২৪ আগস্ট) ওই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে তার স্ত্রী নিশু আক্তারকে একমাত্র আসামি করে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।  উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের রিক্সচালক নাজিম উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা যান।  প্রথম স্ত্রী মারা গেলে তিনি একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার করিম সওদাগরের মেয়ে নিশু আকতারকে বিয়ে করেন।  নাজিমের প্রথম সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।  দ্বিতীয় সংসারে ৯ মাসের ১ মেয়ে রয়েছে।  দ্বিতীয় সংসারের ৯ মাসের শিশুকে দেখাশুনার বিষয় নিয়ে সৎ মা প্রায় সময় মায়শাকে নির্যাতন করেন।  মায়শার সারা দেহে ব্লেড দিয়ে এঁকে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার ছাপ রয়েছে।  এছাড়াও তিনি কামড় দিয়েও আঘাত করেন।
শিশুর বাবা রিক্সাচালক নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিশু প্রথম সংসারের কন্যা মায়শাকে প্রায় সময় নির্যাতন করে।  মায়শাকে মারধর করার বিষয়টি তিনি এতোদিন জানতেন না।  কিন্তু সর্বশেষ ব্লেড দিয়ে কেটে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করলে স্থানীয় লোকজনসহ মায়শাকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।  আমি খবর পেয়ে মেয়ের কাছে আসি।
পটিয়া থানার ডিউটি অফিসার ও উপ-পরিদর্শক মোছাম্মৎ তসলিমা জানিয়েছেন, শিশুর দেহে ব্লেড দিয়ে কাটা ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।  অভিযোগটি খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসি/এসআইকে/এসইউ