অর্থ আত্মসাত প্রমাণিত, চট্টগ্রাম জিপিও’র দুই কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রাম জিপিও’র সঞ্চয় শাখার দুই কর্মীকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।  এরা হলেন- সঞ্চয় শাখার সহকারী পোস্টমাস্টার-৬ নূর মোহাম্মদ ও একই শাখার কাউন্টার অপারেটর সারোয়ার আলম খান।  এ শাখায় সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের টাকা জমা ও উত্তোলন করা হয়।
নুর মোহাম্মদের বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার খরনদীপ গ্রামে এবং সারোয়ারের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার বরহাতিয়া গ্রামে।  চট্টগ্রাম জিপিও’র সঞ্চয় বিভাগে বুধবার (২৬ আগস্ট) আকস্মিক অডিটে ওই দুইজনের অর্থ আত্মসাতের ‘প্রমাণ’ পাওয়ার পর রাতে তাদের কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘ডাকবিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিটে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের পুলিশে দিয়েছে।  এখন তারা একটি লিখিত অভিযোগ দেবেন।  সেটি পেলে আমরা জিডিমূলে দুদকে পাঠাব।  কারণ মামলাটি দুদকের শিডিউলভুক্ত’।
চট্টগ্রাম জিপিও’র ডাকঘর শাখার পরিদর্শক রাজীব পাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দুই কর্মীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে তাদের থানায় পাঠানো হয়।  সেখানে বলা হয়, বুধবার ওই শাখায় তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে গিয়ে লেনদেনের তথ্য যাচাই করেন জিপিও’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  তখনই ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে।
নূর মোহাম্মদ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরিদর্শনকালে তার কাছ থেকে দুই দফায় ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।  বাকি ২৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
চিঠিতে বলা হয়, পুলিশে সোপর্দ করা ওই দুই কর্মী অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ‘সরাসরি যুক্ত বলে ‘প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত’ হয়েছে।  আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এসএজে