বাঁশখালীতে ১৪ বছরের গৃহকর্মী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১

বাঁশখালী প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপাড়া গ্রামের গৃহকর্তার ভাই কর্তৃক ১৪ বছর বয়সী এক শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এ ঘটনায় গৃহকর্তার ভাই ওই এলাকার মাওলানা মসুদুল হকের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৩৮) কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে নির্যাতিত ওই গৃহপরিচারিকা বাদী হয়ে ওই গৃহকর্তা ও তার ছোট ভাইকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছে।
এদিকে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপাড়া এলাকার বাড়ির গৃহকর্তা শহিদুল ইসলাম ও জিয়াউল হকের (৩৫) বাড়িতে একই এলাকার মুহাম্মদ আলী ও আনোয়ারা বেগমের ১৪ বছর বয়সী কন্যা শিশু দীর্ঘদিন ধরে গৃহ পরিচারিকার কাজে নিয়োজিত ছিল।  গত রমজান মাসের ৫ রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত শহিদ মেয়েটিকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে।  পরবর্তীতে তাকে তার ছোট ভাই জিয়াউল হকের কালামিয়া বাজারস্থ বাসায় নিয়ে যায়।  সেখানে জিয়াউল হক তাকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে জানা যায়।
এদিকে নির্যাতিত গৃহ পরিচারিকার বেশ কয়েকদিন ধরে রক্তস্রাব শুরু হলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।  জানাজানি হলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে বিচার কার্যক্রম হওয়ার সময় বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই আব্দুল জলিল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহকর্তা ও মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় সমাজসেবক রেজাউল করিম জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমাদেরকে ডেকে তার কার্যালয়ে নিয়ে যান এবং সেখানে আমরা বসে ঘটনাটি জেনেছি।  নির্যাতিত গৃহ পরিচারিকার বক্তব্য অনুযায়ী তাকে শহিদ এবং জিয়াউল হক ২ ভাই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে জানায়।  বৈঠক চলাকালিন সময় ধর্ষক শহিদ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।  পরবর্তীতে পৌরসভার চৌকিদারেরা তাকে ধরে নিয়ে আসামাত্রই বাঁশখালী থানা পুলিশ এসে ধর্ষক শহিদ এবং গৃহপরিচারিকাকে থানায় নিয়ে যায়।  ধর্ষক শহিদের ২ স্ত্রী, ৪ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আজগর জানান, ঘটনাটি আমাকে জানানোর পর আমি বিস্তারিত জানতে উভয় পক্ষকে ডেকে একটা বৈঠকের চেষ্টা করি।  উক্ত বৈঠকে শহিদ এবং গৃহপরিচারিকা মেয়েটি উপস্থিত হলেও অপর গৃতকর্তা জিয়াউল হক বৈঠকে আসেননি।  ধর্ষণের বিষয়ে কোনো প্রকার বিচার করার এখতিয়ার আমাদের নাই।  এটা আদালতের বিষয়।  বৈঠক চলাকালিন সময়ে থানা পুলিশ অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম এবং গৃহপরিচারিকা মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ঘটনাটি শুনার পর অভিযুক্ত গৃহকর্তাকে আটক করা হয়েছে।  তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএমবিটি