যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হলো ইউএনও’র ওপর হামলাকারীরা

(বামে) আসাদুল ইসলাম ও (ডানে) জাহাঙ্গীর আলম

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবারে ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে গ্রেফতার উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন।  কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই।  যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে ঘোড়াঘাট ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও আসাদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে’।
জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  আর আসাদুল ঘোড়াঘাট যুবলীগের সদস্য।  জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত ক্ষুব্ধ।  এর আগে গত ৭ জুন তাকে বহিষ্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ডিওসহ জেলা যুবলীগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।  কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ বলেন, ‘জাহাঙ্গীর যুবলীগের আহ্বায়ক হলেও সেই কমিটি হয়েছিল তিন বছর আগে। সাধারণ নিয়মে তিন মাসের বেশি সময় হলে সেই কমিটির কার্যকারিতা থাকে না।  তবে আজ মোবাইল ফোনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ইউএনও’র ওপর হামলাকারী দুই জনকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কারের কথা নিশ্চিত করেছেন।  তবে কোনো চিঠি পাইনি আমরা’।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।  ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা।  এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা।
এই ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে আসাদুল হক ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  হিলি ও ঘোড়াঘাট থেকে গ্রেফতারের পর তাদের দুই জনকেই রংপুর র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ