চট্টগ্রামে ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ৬৭ হাজার

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
রেস্তোঁরাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, অনুমোদনহীন ফ্লেভার ব্যবহার, একই ফ্রিজে মাছ-মাংসের সাথে রান্না করা খাবার, ছাপা সংবাদপত্রে মিষ্টি সংরক্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ মিলেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি অভিযানে।  শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নগরীর কোতোয়ালী ও বাকলিয়া থানা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে মোট ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে।  অভিযানে বাসি খাবার, বাসি মিষ্টি, নকল চেরি, মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয়, অননুমোদিত ফ্লেভার, ছাপা সংবাদপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা খাদ্যদ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ বিহীন কাটা ঔষুধ ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে কোতোয়ালী থানার ইকবাল রোডের স্বস্তি মেডিসিন হলকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস করা হয়।  মদিনার ফুল হোটেলকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য ধুলোবালিপূর্ণ স্থানে খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।  আর এম ফার্মেসীকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
পুরাতন ফিশারি ঘাটের বিসমিল্লাহ্ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াকরণ, খাবারে নকল চেরী ব্যবহার, খাদ্যে অননুমোদিত ফ্লেভার ব্যবহার, একই ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সাথে রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে এসব খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকার আদা, রসুন ও পেঁয়াজের আড়ৎসমূহ পরিদর্শন করে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রি ভাউচার পর্যবেক্ষণ করা হয়।  এসময় ব্যবসায়ীবৃন্দকে যৌক্তিক মুনাফা করতে অনুরোধ করা হয়।
আবু জাফর রোডের মাইলো বেকারি অ্যান্ড ব্রেডকে উৎপাদিত বেকারিপণ্য মেঝেতে রেখে প্রক্রিয়াজাত করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  একই এলাকার হোসেন ফুড অ্যান্ড কোম্পানিকে বাসি মিষ্টি সংরক্ষণ, মিষ্টি সংরক্ষণে ছাপা সংবাদপত্র ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও অননুমোদিত উপকরণ ব্যবহার করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে এসব খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/আরআর