নোয়াখালীতে কৃষক লীগের সভাপতির বাড়ি থেকে মর্টার শেল উদ্ধার

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি কবির হোসেনের বাড়ির ছাদ থেকে একটি মর্টার শেল জাতীয় বোমা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া গ্রামের সেরাজুল হক কেরানীবাড়ি থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।  উদ্ধারকৃত মর্টার শেল জাতীয় বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলছে।
উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি কবির হোসেন জানান, শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাজের লোক বাড়ির ছাদ ঝাড়ু দিতে গিয়ে বালুভর্তি একটি নতুন বালতিতে রকেটের মতো একটি যন্ত্র দেখতে পায়।  পরে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি দ্রুত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে অবহিত করেন।  খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী সার্কেল শাহজাহান শেখ, র‌্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু ছালেহ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি কামরুজ্জামান ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ওসি গিয়াস উদ্দিনসহসহ গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় নয় ইঞ্চি সাইজের মর্টার শেলটি উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে সন্ত্রাসীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি কবির হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা।  এ ঘটনায় কবির হোসেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো একই এলাকার মৃত এবাদুল হক ভূঁইয়ার ছেলে হাফিজ উদ্দিন (৪৫) ও মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেনকে (৩২) আটক করা হয়।  অপর আসামি মো. মহিন উদ্দিন (সোর্স) কৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও র‌্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে মো. হাফিজ উদ্দিন (৪৫) তার বন্ধু মো. মহিন উদ্দিন এবং ভাতিজা মো. বেলাল হোসেনের সহায়তায় মো. করিব হোসেনকে র‌্যাবের হাতে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর জন্য অত্র ঘটনা ঘটিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিসা জানান, তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই বলা যাবে না।  তবে উদ্ধার করা বোমাটি মর্টার শেল জাতীয় বোমা হবে।  এটি নিষ্ক্রিয় করা কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ডিসি/এসআইকে/এমএম