নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম শহরের চারটি প্রবেশ পথ সিটি গেট, অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও নতুন ব্রিজ। প্রবেশ পথ হওয়ায় নগরীর অভ্যন্তরে মাদক, অস্ত্র ও চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এ চারটি রুটই ভরসা অপরাধীদের। এসব অপরাধীদের দমনে চারটিতেই রয়েছে নগর পুলিশের তল্লাশি চৌকি। এতে হরহামেশাই পাওয়া যায় মাদক, অস্ত্র ও চোরাচালান আটকের খবর।
তবে গত ১ আগস্ট থেকে অনেকটা অঘোষিতভাবেই তল্লাশি চৌকি চারটি বন্ধ করে দেয় নগর পুলিশ। দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফের চালু হয় তল্লাশি চৌকিগুলোর কার্যক্রম। আর এই দেড় মাসে মাদক, অস্ত্র ও চোরাচালান অবাধে হয়েছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।
নগর পুলিশ সূত্র জানায়, করোনার আগে নগরের ১৬ থানায় প্রতি মাসে গড়ে মামলা হতো তিন শতাধিক। কিন্তু করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ায় অভিযানে ভাটা পড়ে। করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে নগর পুলিশ। যার ফলে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাসে কমে আসে মামলার সংখ্যা।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে জুলাই মাস থেকে ফের মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে পুলিশ। সেই মাসে নগরের ১৬ থানায় মাদকের মামলা হয় ৩২০টি। কিন্তু ১ আগস্ট থেকে ফের ঝিমিয়ে পড়ে মাদকবিরোধী অভিযান। বন্ধ হয়ে যায় তল্লাশি চৌকি। মাদকের মামলা নেমে আসে ১৬০ টিতে। আর এর কারণ হিসেবে গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় পুলিশের ‘ধীরে চলো নীতি’ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন একাধিক কর্মকর্তা।
এদিকে, গত ৭ সেপ্টেম্বর নগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগ দেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি যোগদানের পর থেকেই দুর্নীতি, মাদক, বিট পুলিশিং, কোয়ালিটি ইনভেস্টিগেশনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমকে সামনে রেখে নগর পুলিশের কাজে ফিরতে শুরু করেছে গতিশীলতা।
কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, তল্লাশিচৌকিগুলো চালু করা হয়েছে। সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে অভিযান পরিচালনায় পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইজি দুর্নীতি, মাদকসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর বাইরে বিট পুলিশিং ও কোয়ালিটি ইনভেস্টিগেশন নিয়ে কাজ করবো। এছাড়া প্রশিক্ষণ বাড়ানো, সুপারভাইজিং নিবিড় করা, মনিটরিং বাড়ানো, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে তদন্তের মান উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।
ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ