সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
উত্তর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি ঔষধ ফ্যাক্টরীতে কাজ করা দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় মো. ইমাম (২২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়বকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত যুবক মো. ইমাম উপজেলার বাড়বকুণ্ডের উত্তর দাড়ালিয়া ফকির মিস্ত্রী বাড়ির মো. হারুনের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র এবং মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার বাড়বকুণ্ডের উত্তর দাড়ালিয়া এলাকার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি পড়ুয়া ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। তার বাবা পাহাড়ি জায়গায় চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনার কারণে ওই শিক্ষার্থীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ। তাই দরিদ্র পরিবারে পিতাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতার স্বার্থে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরাদপুর ইউনিয়নের এলবিয়ন ল্যাবরেটরীজ লিমিটেড নামে একটি ঔষধ ফ্যাক্টরীতে চাকুরি নেন এই শিক্ষার্থী। চাকুরিতে যাওয়া-আসার পথে অভিযুক্ত যুবক ইমাম প্রায় সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরণের কু-রুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি এক পর্যায়ে পরিবারকে জানায় মেয়েটি। পরিবার ধর্ষকের পরিবারকে এসব বিষয় থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। ফলে অভিযুক্ত যুবক মো. ইমাম ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় চাকুরি থেকে যাওয়ার পথে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক স্থানীয় বুড়ির বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী শোভাধনী নামে এক নারী এগিয়ে গেলে ইমাম পালিয়ে যায়। ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার রাতেই ওই শিক্ষার্থী পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত মো. ইমামকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে বাড়বকুণ্ড এলাকায় আসামির আত্মীয়ের বাসা থেকে আসামি মো. ইমামকে গ্রেফতার করে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ধর্ষক হিসেবে অভিযুক্ত আসামি মো. ইমামকে আমরা আটক করেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। আমরা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করছি।
ডিসি/এসআইকে/এসইউ