দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সানিলা গ্রামের মাওলানা জাকারিয়া। ইমামতি করতেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গোপালপুর-আত্রাইশুকা গ্রামের একটি মসজিদে। এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছেন মাওলানা জাকারিয়া। এরমধ্যে তৃতীয় স্ত্রীর করা মামলায় ১৪ বছরের সাজা হয় তার। সেই মামলায় জামিনে বেরিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন তিনি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে মাওলানা জাকারিয়া নতুন চাকরিতে যোগদানের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১০ দিনেও তার সন্ধান মেলেনি। জাকারিয়ার সঙ্গে পালানো নাসিমা খাতুন সাঁথিয়া উপজেলার আত্রাইশুকা গ্রামের ইয়াদ আলীর মেয়ে। তার স্বামী সৌদি প্রবাসী।
এদিকে পালিয়ে যাওয়ার পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে মাওলানা জাকারিয়ার একের পর এক কুকীর্তির গল্প। এর আগে তিনি চারটি বিয়ে করেছেন। তার চতুর্থ স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথী বলেন, আমার স্বামী আমার আগে আরো তিনটি বিয়ে করেছেন। আমার আগে বিয়ে করেছেন রাজশাহীর বাসিন্দা চম্পা খাতুনকে। তিনি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন। ওই মামলায় তার ১৪ বছরের সাজা হয়েছে। বর্তমানে আমার স্বামী জামিনে আছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাকে বিয়ের সময় আমার বাবার কাছ থেকে জাকারিয়া তিন লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন। এর আগে সাঁথিয়া উপজেলার গৌরিগ্রামের মুক্তি নামে একজনকে বিয়ে করেন। সেই সংসারে জাকারিয়ার একটি ছেলেও রয়েছে। ওই স্ত্রীও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ওই ঝামেলায় টাকা দিয়ে মীমাংসা করেন তিনি।
সাঁথিয়া থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানান, গোপালপুর-আত্রাইশুকা মসজিদের ইমাম ছিলেন মাওলানা জাকারিয়া। মসজিদের পাশেই বাবার বাড়িতে থাকা প্রবাসীর স্ত্রী নাসিমাকে তিনি বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে জাকারিয়া বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নাসিমাকে নিয়ে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় নাসিমার স্বর্ণালংকার ও প্রবাসী স্বামীর পাঠানো প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যান। এ ঘটনায় অনেক অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের সন্ধান না পেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নাসিমার মামা আব্দুল মান্নান।
সাঁথিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মাওলানা জাকারিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তাকে শিগগিরই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ