অল্পের জন্য রক্ষা পায় ধর্ষণের আলামত

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের পর আলামত নষ্ট করতেই তরুণী ও তার স্বামীর গাড়িটি আটকে রেখেছিল ধর্ষকেরা।  সে সময় ছাত্রাবাসের ফটকে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষা করছিল পুলিশের একটি দল।
সে সময় গাড়িটি ধুয়ে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ধর্ষকেরা।  একজনের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ঢুকে পড়েন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা।  তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় কর্মরত।
ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে বের হয়েছে এ তথ্য।
গতকাল শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জবানবন্দি দেন।  তারা দু’জনসহ মোট চারজন মিলে তরুণীকে ছাত্রাবাসে গাড়িতেই চারবার ধর্ষণ করেছেন বলে জবানবন্দিতে বলেছেন।  তাদের সঙ্গী রবিউল ইসলাম ধর্ষণে সহযোগিতা করেছেন।  ধর্ষণকাণ্ড আড়াল করতে গাড়ি থেকে ধর্ষণের আলামত মুছতে চেয়েছিলেন তারা, কিন্তু পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যান বলে জবানবন্দিতে এসেছে।
এর আগে ওই তরুণীর স্বামী জানিয়েছিলেন, ছাত্রাবাস ফটকে অনুমতির অপেক্ষা করছিলেন শাহপরান থানার ওসিসহ পুলিশের একটি দল।  অভিযুক্ত ধর্ষকেরা তখন ছাত্রাবাসে অবস্থান করছিল।  এতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে মনে করে একজন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা মিহিত গুহ চৌধুরী ওরফে বাবলা চৌধুরী (জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক) নামের একজন সাহস করে তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে অভিযুক্ত ধর্ষকেরা পালিয়ে যান।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ