গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : ইউপি সদস্য ও বাদলও রিমান্ডে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসফিকুল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেন বাদল ও ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ।  এদের মধ্যে বাদলের সাতদিন ও সোহাগের দুদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  তিনি জানান, প্রধান আসামি নুর হোসেন বাদলকে পৃথক দুটি মামলায় ২০ দিন এবং মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের সাতদিন রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।  শুনানি শেষে আদালতের বিচারক বাদলের সাতদিন ও সোহাগের দুদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে একই আদালত এ মামলায় গ্রেফতার মো. আব্দুর রহিম ও রহমত উল্লাহর তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এছাড়া মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে একই ঘটনায় গ্রেফতার দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।  নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমিদা খাতুন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ উল্লেখ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে তার স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন।  রাত ৯ টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন।  এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত আসামিরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে।
এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে।  একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।  এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়।  আসামিরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন।
সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে আসামিরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।  একপর্যায়ে রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ