কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় লম্বাশিয়ার চারমুয়া (চৌমুহনী) তাবলীগ জামায়াতে মরকজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরসি) অফিসসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র ৪ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে। নিহতদের একজন মোহাম্মদ ও অন্যজন গিয়াস উদ্দিন। বাকি দুই জনের পরিচয় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) জানা যায়নি। এ ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত আর্মড ব্যাটালিয়ান মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, প্রতিদিন এ ধরণের রক্তক্ষয়ী ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রীতিমতো ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা। অন্যদিকে আশেপাশের বাংলাদেশি নাগরিকদের মাঝেও চাপা ক্ষোভ, আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন- বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার আহমেদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান, মঙ্গলবার রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেলেও এখনো সবার পরিচয় জানা যায়নি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এখনই কোনো সঠিক তথ্য জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) পর্যন্ত কয়েকদিনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনায় উখিয়া থানায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। মামলার সূত্রে পুলিশ এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। আটককৃত ব্যক্তি কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহীমের ছেলে জিয়াউর রহমান (২০) বলে জানা গেছে।
অপরদিকে র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে ৯ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। এ সময় ৪টি দেশে তৈরি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও গুলি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত সন্ত্রাসীরা হচ্ছেন রশিদ আহমদ (৩২), ছলিমুল্লাহ (৫৫), শফিক আলম (২০), আব্দুল হামিদ (২০), মো. সাবের (৩২), মো. ছালাম (৫০), ইসমাইল (২৫) হারুনুর রশিদ (২৮) ও ফয়েজ (২২)।
উল্লেখ্য, গত ৫ দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টানা হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় ৮ জন খুন হয়। পূর্বের ঘটনায় নিহতরা হলেন ইমাম শরীফ, শামসুল আলম, মো. ইয়াছিন ও সমিরা আকতার।
ডিসি/এসআইকে/এফআর