সীতাকুণ্ডে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেফতার এক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় এক কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  আটক ব্যক্তির নাম মো. মোরশেদুল আলম (৪৫)।  বুধবার (০৭ অক্টোবর) ওই গৃহকর্মীর পরিবারের লোকজন থানায় গৃহকর্মে দেয়া জনৈক মহিমা আক্তার (৪২) ও ধর্ষণ চেষ্টাকারী মোরশেদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।  অভিযুক্ত মোরশেদুল আলম চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার হাজী নুর আহাম্মদ সড়কের পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার জাহিদুল আলমের ছেলে বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার কলাপাড়া এলাকার এক কৃষকের মেয়ে।  তার মা কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন।  অভাবের কারণে ৮ বছর বয়সে একই এলাকার মহিমা আক্তার নামের এক নারী তাকে দেড় হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রামের একটি বাসায় কাজ করতে নিয়ে আসে।  এরপর নগরের বাংলাবাজার এলাকায় এক চিকিৎসকের বাসায় মাসে ২০০০ টাকা বেতনে কাজ দেয়া হয়।  এভাবে আর মানুষের বাসায় কাজ করতে অনিহা প্রকাশ করলে মহিমা মাঝে-মধ্যে বেতন নেওয়ার জন্য গিয়ে ওই কিশোরীকে মারধর করতো।  গত ৩ অক্টোবর মহিমা ওই কিশোরী গৃহকর্মীকে বিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে সীতাকুণ্ডস্থ জঙ্গল সলিমপুরের বাড়িতে নিয়ে যান।  গতকাল মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) মহিমা তার বাসায় অভিযুক্ত মোরশেদুল আলমকে নিয়ে যান এবং ওই কিশোরীকে বলেন এই পুরুষের সাথে তার বিয়ে হবে ও লোকটি মেয়েটিকে আমেরিকা নিয়ে যাবেন।  এমন কথা বলে মোরশেদুল আলমের সাথে ওই কিশোরীকে ঘরে রেখে মহিমা চলে যায়।  পরে মোরশেদুল মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।  তখন ওই কিশোরী চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং মোরশেদকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।  পরে পুলিশ গিয়ে আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।  বুধবার (০৭ অক্টোবর) বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় আসামিকে।  অভিযুক্ত মহিমা আক্তারকেও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক জানান, আমরা অভিযুক্ত আসামিকে আটকপূর্বক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছি।  আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।  আমরা এই অপরাধে সহায়তাকারী মহিমা আক্তারকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

ডিসি/এসআইকে/এসইউ