চট্টগ্রামে ডাকাতির তিন মাস পর গ্রেফতার ৪, স্বর্ণারঙ্কার উদ্ধার

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চট্টগ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতির তিন মাস পর চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) তাদের গ্রেফতার করা হয়।  গ্রেফতাররা হলেন- মো. নূরুল ইসলাম (৪৩), মো. সেলিম (৪২), মো. মোশারফ (২৬) ও ইব্রাহিম খলিল (৩২)।
এছাড়া ডাকাতির স্বর্ণালঙ্কার কেনার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করে লুন্ঠিত চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক মোজাম্মেল হক সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ২৯ আগস্ট গভীর রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার দৌলতপুরে মুহাম্মদ মহসিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ১০-১৫ জন ডাকাত হানা দিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১০টি মোবাইল ফোন ও অন্তত ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।  এই ঘটনায় ৩০ আগস্ট ফটিকছড়ি থানায় মুহাম্মদ মহসিন বাদি হয়ে মামলা করেন।  ১০ সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলটির তদন্ত শুরু করে।
তিনি আরো জানান, ডাকাতির ঘটনার পর গত সেপ্টেম্বর মাসে লুট করা দুইটি মোবাইলসহ একজনকে নগরীর কর্নেলহাট এবং একটি মোবাইলসহ আরেকজনকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।  এরপর টানা তদন্ত চালিয়ে ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে গত অক্টোবরে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা থেকে আটক করা হয় জানিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) নগরীর কাঠগড় এলাকা থেকে সেলিম এবং হালিশহর এলাকা থেকে মোশারফ, পাহাড়তলী এলাকা থেকে নূরুল ইসলাম ও আকবর শাহ এলাকা থেকে ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়।  পরে জিজ্ঞাসাবাদে নূরুল ইসলাম কর্নেলহাট বাজারে একটি স্বর্ণের দোকানের সন্ধান দেয়, যেখানে লুন্ঠিত মালামাল বিক্রি করা হয়েছে।  ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে একটি চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করে মালিক রানা কান্তি দে’কে গ্রেফতার করা হয়’।
তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল জানান, এই ডাকাতির মূল হোতা নূরুল ইসলাম ও শাহ আলম নামের দুইজন।  তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় এবং নির্জন বাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়।  এর আগেও তারা বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল।  লক্ষ্মীপুরে শাহ আলমের বাড়ি।  তবে সে এখনও পলাতক।
ফটিকছড়ির যে বাড়িতে ডাকাতি করা হয়েছে সেটিও নির্জন এলাকায়।  ওই বাড়ির পাশে আর কোনো বাড়ি ছিল না।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ