বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, গ্রেফতার ৪

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।  তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করেছে।  বিষাক্ত মদ বিক্রি করারা মামলায় সদর থানা পুলিশ রাতেই চারটি হোমিও ফার্মেসির চার মালিক-কর্মচারিকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার চারজন হলো, পারুল হোমিও হলের মালিক নুরুন্নবী শেখ, মুন হোমিও হলের মালিক এমএ খালেক, করতোয়া হোমিও হলের মালিক শাহিদুল ইসলাম ও হাসান হোমিও হলের কর্মচারি জুয়েল।
পুলিশের সূত্র ও বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে বিষাক্ত মদপানে মৃত ১৬ জনের নাম পাওয়া গেছে।  এদের মধ্যে চারজন হাসপাতালে ও ১২ জন নিজ বাড়িতে মারা গেছেন।  পুলিশ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করলেও অন্যদের মরদেহ স্বজনরা পুলিশকে না জানিয়ে দাফন করেছেন।
সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জানান, তারা এখন পর্যন্ত বিষাক্ত মদপানে আট জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।  তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরও জানান, মদপানে অসুস্থ শহরের শিববাটি এলাকার হোটেল শ্রমিক রঞ্জু মিয়ার ভাই মনোয়ার হোসেন সোমবার রাতে সদর থানায় শহরের ফুলবাড়ি এলাকার পারুল হোমিও হলের মালিক নুরুন্নবী শেখ ও তার ভাই পুনম হোমিও হলের মালিক নুর আলম শেখ এবং তিনমাথা এলাকার খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর ইসলামের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বিষাক্ত মদপানে মারা গেছেন সন্দেহে দুরুলিয়া গ্রামের মেহেদী হাসান ও কাটাবাড়িয়া গ্রামের আহাদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মদপানে মৃত প্রেমনাথের ছেলে সুজন রবিদাস জানান, তারা পেশায় মুচি। তার বাবা প্রেমনাথ, চাচা রামনাথ, বড় ভাই সুমন ও প্রতিবেশী রমজান আলী খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর ইসলামের কাছ থেকে নিয়মিত মদ কিনে পান করতেন।  ওই দোকান থেকে তারা ৩১ জানুয়ারি মদ কিনে পান করে মারা গেছেন।
বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন, সারিয়াকান্দির হাটফুলবাড়িতে শফিকুল ইসলাম।  এছাড়া শাজাহানপুর উপজেলায় অন্তত পাঁচ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

ডিসি/এসআইকেে/এমএস