রায় শুনে অঝোরে কাঁদলেন দীপনের স্ত্রী নাজিয়া

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায় শোনার পর অঝোরে কেঁদেছেন তার স্ত্রী নাজিয়া সুলতানা।  এ সময় দীপনের স্ত্রীর সঙ্গে থাকা সদস্যরা তাকে জড়িয়ে ধরে রাখেন।  তাদের কাছে রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো কথা বলেননি।
পাশে থাকা দীপনের স্ত্রীর এক স্বজন বলেন,  ‘এই মুহূর্তে কিছু বলার মতো অবস্থা নেই। আমাদের প্রতিক্রিয়া এখনই বলতে পারছি না’। এভাবে কথা বলতে বলতে এজলাস কক্ষ থেকে তারা বেরিয়ে যান।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি)। সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।  রায়ে মামলার চার্জশিটভুক্ত আট আসামিকেই মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন আদালত। তারা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪); সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মো. আ. সবুর (২৩); সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ, খাইরুল ইসলাম (২৪); সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪); সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫); সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার, মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭); সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের, সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০); সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮); সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।
এর আগে আজ সকালে বিশেষ ব্যবস্থায় এ মামলার ছয় আসামিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।  মামলার শুরু থেকেই বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।  এ রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএস