দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একটি বাড়ির ছাদে মিলল ইয়াসিন আরাফাত নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ। তবে নিহতের গলায় ফাঁস থাকলেও পা ছিল ছাদের ফ্লোরে। বন্ধুরা তাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে ধারণা স্বজনদের।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা শহরের হাজীপাড়ার ভাড়া বাসার ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ইয়াছিন আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মকবুল হোসেনের ছেলে আলভী ও ফিরোজ শিকদারের ছেলে একান্ত শিকদার।
আব্দুর রহমান খাদ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী হওয়ার সুবাদে ১৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে আশুগঞ্জে থাকছেন। পাঁচ বছর ধরে তারা হাজীপাড়ায় কালাম মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে বন্ধুরা ফোন করে ইয়াসিনকে বাসা থেকে ডেকে নেন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। তাকে ফোন করলেও রিসিভ করেননি। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইয়াছিনের মেসেঞ্জারে ঢোকেন বড় ভাই তুষার। সেখানে ভয়েচ মেসেজে জানতে পারেন- বন্ধু রায়হানের বাসার ছাদে আছেন ইয়াছিন। এছাড়া বন্ধুর কাছে মাফ চাচ্ছেন। পরে সেই ছাদে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। সকালে ফের খুঁজতে গিয়ে ছাদের দেয়ালের সঙ্গে লোহার তার গলায় পেঁচানো ইয়াছিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। এরপর খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
ইয়াছিনের বাবা আব্দুর রহমান বলেন, আশুগঞ্জে ইয়াছিন মূলত আলভি, রায়হান, প্রান্ত ও একান্ত নামের বন্ধুদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটাতেন। কিছুদিন আগে ইয়াছিনকে আলভিসহ কয়েকজন মারধর করেছিল। তারাই ইয়াছিনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. জাবেদ মাহমুদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত জব্দ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইয়াছিনের দুই বন্ধুকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ওসি আরো বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ও তদন্তের পর ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ