রাপা প্লাজায় স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনা: পাঁচজন শনাক্ত

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
রাজধানীর ধানমন্ডির রাপা প্লাজায় একটি স্বর্ণের দোকানসহ তিনটি দোকানে চুরির ঘটনায় পাঁচজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।  তাদের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।  যাকে গ্রেফতারে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
শপিং মলে থাকা সিসি ক্যামেরার সংগ্রহকৃত ফুটেজে ৫ জনকে শপিং মলে ঢুকতে দেখা গেছে।  তার মধ্যে ৪ জনের মুখে মাস্ক ও কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।  তাদের চেনা যাচ্ছে না।  তবে এক চোরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে হাজারীবাগ, ধানমন্ডি এলাকায় প্রথাগত সোর্স ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
ঘটনার পর শপিং মলটির দুজন নিরাপত্তারক্ষী সেন্টু ও মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।  তাদের মোবাইল কললিস্ট ধরেও চোরদের শনাক্তের কাজ করছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির রাপা প্লাজায় চুরির ঘটনা ঘটে।  মার্কেটটির মহিলা টয়লেটের গ্রিল কেটে চোর ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকান ও কয়েকটি কাপড়ের দোকানে চুরি করে।  এই ঘটনায় স্বর্ণের দোকানের মালিক মহাদেব কর্মকার বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।  মামলাটি ধানমন্ডি থানা পুলিশ ছাড়াও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ রমনার বিভাগ তদন্ত করছে।
মামলার বাদী মহাদেব কর্মকার বলেন, ‘এই মার্কেটে ২০০৫/০৬ সালের দিকে একবার স্বর্ণের দোকানে চুরি হয়েছিল।  আমার ধারণা মার্কেটের লোকজন জড়িত।  চোরদের গ্রেফতার না করতে পারলে এই মার্কেটে আবার চুরি হবে।  এখন পর্যন্ত কোনও আটক বা গ্রেফতারের খবর আমি পাইনি’।
মামলার তদন্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান,  চুরির আগে চক্রটি মার্কেটের সবকিছু খুঁটিনাটি রেকি করেছে।  তা না হলে মহিলা বাথরুমের জানালার গ্রিল এবং সিলিং ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার পথ আবিষ্কার করা সম্ভব না। দোকানের সামনে একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ছিল তাতেও তারা স্কচ-টেপ দিয়ে টিস্যু পেপার লাগিয়েছে।
মার্কেটের ম্যানেজার সাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন রাত ৯টার দিকে ব্যবসায়ীরা বের হবার পর নিরাপত্তাকর্মীরা মার্কেটের ভেতরে তল্লাশি করে গেট লাগিয়ে দেয়।  এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা মার্কেটের গেটের সামনে পাহারা দেয়।  কেউ ভেতরে থাকে না।  পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে তারা চোরদের গ্রেফতার করতে পারলেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে, তারা কিভাবে ঢুকেছিল’।
মামলার বাদীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন,  ‘মার্কেটটিতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়। মার্কেটের কেউ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না’।
পুলিশ মার্কেটের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে।  ফুটেজে দেখে ৫ জনকে শনাক্ত করেছে। এদের মধ্যে দুজন মার্কেটের বাইরে অপেক্ষা করছিল।  তার তিনজন ভেতরে প্রবেশ করে।  যে দুজন বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল তারা সেখানে হাঁটাহাঁটি করছিল।
এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের ধানমন্ডির জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি।  তবে এখনো কোন গ্রেফতার বা আটক নেই।  তবে শিগগিরই ভালো একটি ফল পাওয়া যাবে।  আমরা ছাড়াও মামলাটি ডিবিও তদন্ত করছে। সবাই একযোগে কাজ করছি’।

ডিসি/এসআইকে/এমএস