জামিনে মুক্ত নির্বাচনি হত্যাকাণ্ডের আসামি কাদের

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের প্রচারণার সময় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘাতে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল কাদের জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আবদুল কাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে শুধু একটি হত্যা মামলা ছিল।  ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।  জামিন আদেশ আসার পর সন্ধ্যায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ আসামি আবদুল কাদেরকে একবছরের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।  সোমবার হাইকোর্টের আদেশ চট্টগ্রামে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) আদালতে এসে পৌঁছে।  সিএমএম আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ দাফতরিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার বিকেলে সেটি চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠান।
গত ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ জানুয়ারি রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং ‘বিদ্রোহী’ আবদুল কাদের গণসংযোগ করছিলেন।  ওই ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজন মারা যান।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।  রাতেই কাদেরকে মূল অভিযুক্ত করে মোট ১৩ জনকে আসামি করে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন নিহত আজগর আলী বাবুলের ছেলে সিজান মোহাম্মদ সেতু।  মামলায় আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আবদুল কাদের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।  ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।  তবে এবার তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুরের কাছে পরাজিত হন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ