চট্টগ্রাম জেল সুপার ও ডেপুটি জেলার প্রত্যাহার

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফরহাদ হোসেন রুবেল নামে এক হাজতি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জেলার মো. রফিকুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার মুহাম্মদ আবু সাদ্দাতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  রবিবার (৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় উপ মহা-কারাপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম পৃথক আদেশে জেলারকে কারা অধিদফতরে ও ডেপুটি জেলারকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ কারাপরিদর্শক অফিসে সংযুক্ত করেন।
এ ঘটনায় কারারক্ষী নাজিম উদ্দিন ও সহকারী কারারক্ষী ইউনুস মিয়াকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  সহকারী প্রধান কারারক্ষী কামাল হায়দারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে হাজতি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।  কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুমনি আক্তারকে আহ্বায়ক এবং এডিসি (ট্রাফিক-উত্তর) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. মাজহারুল ইসলামকে সদস্য করা হয়।
রবিবার কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন তিন সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করেন।  কমিটিতে খুলনা বিভাগীয় উপ-কারাপরিদর্শক ছগির মিয়াকে সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেল সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদকে সদস্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি (প্রিজন্স) একে এম ফজলুল হক ।
গতকাল শনিবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফরহাদ হোসেন রুবেল নামে এক হাজতি নিখোঁজ রয়েছেন।  তিনি নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার বাসিন্দা।  নগরের সদরঘাট থানার একটি হত্যা মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাগারে যান।  নিখোঁজ হাজতি রুবেল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনের পানিশমেন্ট ওয়ার্ডে থাকতেন।  শনিবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে তার নিখোঁজ থাকার বিষয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে নিয়মিত বন্দি গণনাকালে কর্ণফুলী ভবনের হাজতি রুবেলের অনুপস্থিতির বিষয়টি ধরা পড়ে।  এরপর থেকে দিনভর খোঁজ করেও তার খোঁজ মিলেনি।
সদরঘাট থানার এসআরবি রেল গেইট এলাকায় ৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে আবুল কালাম আবু নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করেন রুবেল।  পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কালাম হাসপাতালে মারা যান।  এ ঘটনায় কালামের মা মর্জিনা বেগম সদরঘাট থানায় মামলা করেন।  ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রুবেল কারাগারে ছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ