স্বামীর দেয়া আগুনে পুড়ে মরলেন ২ কন্যার জননী

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় দ্ই কন্যা সন্তানের জননীকে পুড়িয়ে মেরেছেন তারই স্বামী।  উপজেলার ১ নম্বর বাগানবাজার ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।  গত ১৩ মার্চ স্বামীর দেয়া কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ ফাতেমা বেগম (২৩) মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকাল ৫ টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।  নিহত গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার (২৩) একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে।
অপরদিকে ফাতেমার স্বামী ঘাতক ইমাম হোসেন (৩০) মোহাম্মপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।  গত ১৩ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে পাষণ্ড স্বামী ইমামের বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটে।
স্বামীর দেয়া আগুনে ফাতেমার শরীরের মুখমন্ডলসহ প্রায় ৭৫ শতাংশ অঙ্গ পুড়ে যায়।  আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ভূজপুর থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত।  ফাতেমার ২ কন্যা সন্তান জন্মদান নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কটুক্তি করতো প্রায় সময়।  বেশ কয়েকবার স্থানীয় সালিশীর মাধ্যমে সমাধান করে দেয়া হলেও বন্ধ হয়নি স্বামীর নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
জানা যায়, গত ১৩ মার্চ (রবিবার) রাতে মাদকাসক্ত স্বামীর সাথে দেরিতে বাড়ি ফেরা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ফাতেমার।  এতে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে ঘরে থাকা কেরোসিন ফাতেমার শরীরে ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ঘাতক স্বামী সাইফুল।  এতে ফাতেমার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়ে যায়।
এই ঘটনায় ইমাম হোসেন ও তার বাবা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন অগ্নিদগ্ধ ফাতেমার বাবা মো. আব্দুল গফুর। ঘাতক ইমাম হোসেন ও তার বাবা আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ভূজপুর থানা পুলিশ।  ফাতেমা মৃত্যূবরণ করায় থানায় দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ