চট্টগ্রামের আকবরশাহ’য় অসামাজিক কার্যকলাপ, মুক্ত হলো চার কিশোরী, গ্রেফতার বাড়িওয়ালা

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুই কিশোরীকে বাসায় আটক রেখে অসামাজিক কাজে বাধ্য করছিল ভাড়াটিয়া দম্পতি।  উপায় না পেয়ে চিরকুট লিখে নিচে ফেলে দেয় তারা।  পথচারীর সহায়তায় সেই চিরকুট পেয়ে কিশোরীদের উদ্ধারের পর এ ঘটনায় বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  তবে, ঘটনায় জড়িত ভাড়াটিয়া দম্পতি এখনো পলাতক।  গ্রেফতার বাড়ির মালিকের নাম নূর নবী (৫২)।
গতকাল শনিবার (২০ মার্চ) ভোরে আকবরশাহ থানাধীন নতুন মনসুরাবাদ এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।  নূর নবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এমন অপকর্ম ঘটবে এটা জেনেও ওই দম্পতিকে বাসা ভাড়া দিয়েছেন তিনি।  আর সেই বাসাতেই কিশোরীদের এনে এ কাজে বাধ্য করে পলাতক আমেনা বেগম ও আব্দুল আলী প্রকাশ সুমন দম্পতি।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।  তিনি বলেন, ‘আকবরশাহ্ থানাধীন বিশ্ব ব্যাংক আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে কোহিনুর প্লাজার ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাটে দুই কিশোরীকে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।  ওই দুই কিশোরীকে গত কয়েকদিন ধরে ওই ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয়েছিল।  তাদের একজন শনিবার একটি চিরকুট লিখে জানালা দিয়ে নিচে ফেললে একজন পথচারী পেয়ে থানায় এসে জানান।  এরপর পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।  পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকবরশাহ থানাধীন নতুন মনসুরাবাদ নবাব বাড়ি হোটেলের পাশে জনৈক নূর নবীর মালিকানাধীন বিল্ডিংয়ের ৩য় তলার তালাবদ্ধ রুম তল্লাশি করে আরও দুই জন ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়’।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ওই ভবনের মালিক নূর নবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  নূর নবী জেনেশুনে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যেই ওই ফ্ল্যাটটি আমেনা বেগম ও তার কথিত স্বামী আব্দুল আলী প্রকাশ সুমনকে ভাড়া দিয়েছেন বলে দাবি করেন ওসি।  ওই দুইজন বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ‘আমেনা বেগম তার স্বামীর সহায়তায় বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীদের সংগ্রহ করতেন।  পরে তাদের ফ্ল্যাটে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতেন।  এ বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আকবরশাহ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে’।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর