চট্টগ্রামের আকবরশাহ’য় করোনায় মৃত্যু হয়নি কিশোরী সুমীর, হত্যা করেছেন চাচী

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ’য় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেছিলেন কিশোরীর চাচী।  গত বছরের ৩ জুলাই রাতে কিশোরী কুলসুম আক্তারের লাশ উদ্ধার করে আকবরশাহ থানা পুলিশ।  থানার অন্তর্গত শাপলা আবাসিক এলাকা থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।  তখন কিশোরীর চাচী বলেছিলেন- করোনার উপসর্গ নিয়ে কুলসুমের মৃত্যু হয়েছে।  অবশেষে চিকিৎসকের দেয়া প্রতিবেদনে জানা গেলো- করোনায় নয়, কিশোরী কুলসুমকে শ্বাসরোধে খুন করেছেন তারই আপন চাচী সুমি আক্তার।
গতকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকা থেকে তার চাচীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  তিনি ওই এলাকার প্রবাসী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।  আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করা হলে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন সুমি।
আকবরশাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, ১৪ বছর বয়সী কিশোরী কুলসুম আক্তার আলমগীর হোসেনের বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।  দেড় বছর বয়সে তার বাবাকে হারান কুলসুম।  মা তাকে দাদীর কাছে রেখে চলে যায়।  এরপর দাদী তাকে লালন পালন করে আসছিলেন।  তিনি জানান, কয়েক বছর আগে আলমগীর তার ভাতিজিকে গ্রামে বাড়ি চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামে তার পরিবারের কাছে নিয়ে আসেন।  কিন্তু তা মেনে নিতে পারেনি আলমগীরের স্ত্রী সুমি আক্তার।  আলমগীর সৌদি আরবে চলে গেলে কুলসুমের উপর নির্যাতন শুরু করে সুমি।  গত বছরের ৩ জুলাই রাতে কুলসুমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চাচী সুমি আক্তার।  এরপর করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন।
ওসি জানান, শনিবার কুলসুমের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পায় পুলিশ।  তাতে উল্লেখ করা হয় অসুস্থতা নয়, কুলসুমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।  ওইদিন সুমি আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  একপর্যায়ে কুলসুমকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে।  পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সুমি।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর