কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গবাছড়ার তিনছড়ি নোয়াপাড়া এলাকায় ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১ তারিখ একই পরিবারের মা ও মেয়েকে গভীর রাতে পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপ আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে মামলার বাদী হলাম্রাউ মারমাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গবাছড়া তিনছড়ি নোয়াপাড়ার বাসিন্দা ও হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত একাধিক আসামি ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বাদী নিজেই চন্দ্রঘোনা থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরীকে অবহিত করেন বলে জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১ জুলাই রাত আনুমানিক ১টা থেকে ২টার মধ্যে গবাছড়া তিনছড়ি নোয়াপাড়া এলাকার দূর্গম পাহাড়ের বসত ঘরে ঢুকিয়ে বৃদ্ধ ম্রাসাং খই মারমা (৬০) ও মে সাংনু মারমা (২৯) তথা ভিকটিম মা ও মেয়ে দুইজনকে হত্যা করেন বলে এজাহারে উল্লেখ রযেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর পরই অভিযুক্ত তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে বাদীর দায়ের করা মামলায় মেহলা মারমা (৩২), আচিং মং মারমা (৩৫) ও চিকাং মারমা (৫৫) কে রাঙামাটি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দিকে গ্রেফতারকৃত ৪ জনের মধ্যে মেরাগ তনচংগ্যক, মংথোয়াই চিং মারমা, বাবুলসহ তিন জন জামিনে বের হয়ে আসে। জোড়া খুনের এ হত্যা মামলাটি তুলে নিতে বাদী হলাম্রাউ মারমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছেনে তারা। মামলা তুলে না নিলে বাদীকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় বলে দাবি করছেন বাদীর পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবার আরো জানায়, ‘মামলা তুলে নিতে আসামি ও তার আত্মীয়-স্বজনরা বাদীকে হুমকি দিচ্ছে। বাদী জানান, আমাকে মেরে ফেলে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্তরা। এছাড়াও বিবাদীরা আমার বিরুদ্ধে গাছ, মাছ চুরির মিথ্যা মামলা দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এজন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বাদীর ছোট ভাই বাচিং মং মারমা বলেন, আমরা রাঙামাটি জেলা জজ আদালতে নারাজির আবেদন করলে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি হস্তান্তর করার আদেশ দেয়। এতে আমার মা-বোন হত্যার ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।
এ ব্যাপারে চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগটি বাদী মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা ও তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
ডিসি/এসআইকে/এমএ