চট্টগ্রামে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে বেঁধে নির্যাতন, অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষণের হুমকি চিকিৎসক স্বামীর

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
পাঁচমাস আগে পারিবারিকভাবে চিকিৎসক মো. মহসিনের সঙ্গে বিয়ে হয় সানজিদার।  ভেবেছিলেন অন্যসব মেয়ের মতো সুখের সংসার হবে তার।  কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সানজিদার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করেন চিকিৎসক মহসিন।  কখনো মোটরসাইকেল কেনার জন্য যৌতুক চাইতেন, কখনো জোর করে গর্ভপাত ঘটানো, আবার কখনো দিতেন অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকিও।
এ অবস্থায় কোনো উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী সানজিদা।  সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে দক্ষিণ শুলকবহর এলাকার একটি বাসা থেকে অভিযুক্ত স্বামী মহসিনকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।  সানজিদাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে।  চিকিৎসক মো. মহসিন নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত।
সানজিদার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১২ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।  বিয়ের পর থেকেই কাতার প্রবাসী শাশুড়ি ও দেশে থাকা মামা শ্বশুরের উসকানিতে তার ওপর নিয়মিত নির্যাতন চালাতেন মহসিন।
সম্প্রতি মোটরসাইকেল কেনার জন্য যৌতুক দাবি করেছিলেন মহসিন।  দিতে না পারায় এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তার ওপর চালাতেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।  এছাড়া বিয়ের পর থেকে প্রতিমাসে তার শরীরে একটি করে ইনজেকশন দিতেন মহসিন।  যা মূলত গর্ভপাত করানো জন্যই দিতেন বলে ধারণা সানজিদার।
পরিবার ও স্বজনের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করার পাশাপাশি তাকে বাসায় তালা দিয়ে রাখতেন মহসিন।  আর এসব নিয়ে উচ্চবাক্য করলে দিতেন অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকি।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে শুলকবহর এলাকার মোজাম্মেল ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার একটি বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়।  একই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  এ ঘটনায় স্বামী, শাশুড়িসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।  বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর