কুতুবদিয়ায় সংঘর্ষ-দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পৃথক সংঘর্ষ ও দুর্ঘটনায় মো. রুস্তম প্রকাশ লেদু মাঝি (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।  আহত হয়েছেন আরো ৪ জন।  নিহত ও আহতদের কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নিহত রুস্তমসহ ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শরীফ জানান, আহতের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমরা সবাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
তবে পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনী পর্যন্ত পৌঁছলে পথেই মো. রুস্তম মারা যায় বলে জানান তার বাবা আজিজুল হক প্রকাশ ভেট্টু মাঝি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকাল ৩ টায় কুতুবদিয়া উপকূলের বড়ঘোপ ইউনিয়নের পূর্ব মুরালিয়া গ্রামে আজিজুল হক প্রকাশ ভেট্টু মাঝির ফিশিং ট্রলার মেরামত কাজের সময় কাঠের আঘাতে ট্রলার মালিকের ছেলে মো. রুস্তম প্রকাশ লেদু মাঝি (৩২) এবং তার মেয়ের জামাই মৃত মো. রশিদের ছেলে মো. মামুন (৩০) আহত হন।  আহতদের এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।  এরপর রুস্তমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরিবারকে পরামর্শ দেয়।  হাসপাতালে নেয়ার পথেই পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনীতে মো. রুস্তম মারা যায় বলে জানান তার বাবা আজিজুল হক প্রকাশ ভেট্টু মাঝি।
একই দিন দুপুর সাড়ে ১২ টায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মলমচর গ্রামে লবণ মাঠের সীমানা বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে মৃত শফিউল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪০), একই এলাকার মৃত নুরুচ্ছাফার ছেলে বদিউল আলম (৪০) আহত হয়েছেন।  আহতদের কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মাহমুদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
অন্যদিকে একই দিন বৃহস্পতিবার সকালে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোডের মাথায় সমুদ্রচরে আনোয়ারের কন্যা শিশু রিয়া (১০) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে শিশু রায়হানের (১১) সাথে খেলায় ঝগড়া হয়।  এ ঘটনা নিয়ে একই দিন দুপুর একটায় চেয়ারম্যান রোডের মাথায় জয়নাল আবেদিনের দোকানে রায়হানকে একা পেয়ে রিয়ার বাবা আনোয়ার মারধর করেন।  এক পর্যায়ে দোকানের মালামাল ও টাকা লুট করে বলে দোকান মালিক জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করেন।  রায়হানের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থল থেকে রায়হানকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার।  এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে রায়হানের মা রেনুয়ারা বেগম জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওমর হায়দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  তবে, সীমানা সংক্রান্ত এবং দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়ার জেরে পৃথক যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান।  কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএ